চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সমুদ্রসৈকতে ছবি তুলতে গিয়ে জোয়ারে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া সিফাতের (১৭) মরদেহ ২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল। আজ রোববার সকাল ১১টার সময় নিখোঁজ হওয়া স্থান থেকে ৫০০ গজ উত্তরে পানিতে সিফাতের মরদেহ ভেসে উঠে। পরে ডুবুরিরা তাকে উদ্ধার করে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সিফাত বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র উপকূলে বেঁড়িবাধ সংস্কারে জেনেসিস ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। শনিবার কাজ না করে দুই বন্ধু মিলে সমুদ্রে গোসল করতে যান। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মোবাইল সহপাঠীকে দিয়ে ছবি তুলতে বলে জোয়ারের পানিতে ঝাঁপ দেন। জোয়ারের পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ হয়ে গেলেও সিফাতকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন তার সহপাঠী। পরে বিষয়টি কুমিরা ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে ঘটনাস্থলে গেলেও ডুবুরি দল না থাকাতে তাৎক্ষণিক উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৪ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদ থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। রাত ৯টার পর উদ্ধার অভিযান বন্ধ রেখে আজ রোববার সকাল থেকে আবার উদ্ধার অভিযানে নামে ডুবুরি দল। বেলা ১১ টার দিকে সিফাতের মরদেহ উদ্ধার করে তারা।

কুমিরের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ফিরোজ মিয়া বলেন, শনিবার নিখোঁজ কিশোরের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ডুবুরি দল সাড়ে ৬টায় এসে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে উদ্ধার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ রোববার সকালের দিকে পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হওয়া স্থান থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে মরদেহ ভেসে উঠে। ময়নাতদন্ত ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে পরিবারকে নিহতের মৃতদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ