সাম্য হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে রাবিতে মশাল মিছিল
Published: 18th, May 2025 GMT
ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (১৯ মে) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর সংলগ্ন ছাত্রদলের দলীয় টেন্ট থেকে মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় তারা ‘আমার ভাই মরলো কেন, ইন্টেরিম জবাব চাই’, ‘আমার ভাই খবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘ছাত্রদলের অঙ্গীকার, নিরাপদ ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরো পড়ুন:
রাবিতে শতভাগ আবাসনসহ রাকসুর পূর্ণাঙ্গ তফসিল দাবি
রাবি শিক্ষার্থীদের নতুন হলে আসন মিলবে ডিসেম্বরেই
মশাল মিছিল শেষে শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্যকে টার্গেট কিলিং করা হয়েছে। রাবি ছাত্রদল সাম্যর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্ৰেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মশাল মিছিলের আয়োজন করেছে। সাম্যর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার না হলে আগামীতে এই মিছিলের আগুন যমুনাতে গিয়ে পৌঁছাবে।”
যুগ্ম-আহ্বায়ক শাকিলুর রহমান সোহাগ বলেন, “সাম্যকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হলেও প্রশাসন এখনো যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। ঢাবি প্রশাসন যদি এই হত্যার বিচার করতে না পারে, তাহলে ঢাবি উপাচার্যকে এ মুহূর্তে পদত্যাগ করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি বিচার করতে না পারেন, তাহলে আপনাদেরও দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। রাবি ছাত্রদল দ্রুত আরো কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে সাম্য হত্যার বিচার আদায় করবে।”
আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “সাম্য ছিল জুলাইয়ের সম্মুখ যোদ্ধা। আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাম্যের পায়ের রগে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা জানেন কে বা কারা এই রগের রাজনীতি করে। তাদের হুশিয়ার করে বলতে চাই, নতুন বাংলাদেশে আপনাদের এই রগ কাটার রাজনীতি সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না। দেশের জনগণকে সাম্যের বিচার দ্রুত কার্যকর করতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানাচ্ছি।”
তিনি আরো বলেন, “সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত কার্যকর না করলে রাবি শাখা ছাত্রদল ঢাকা থেকে রাজশাহীকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। এছাড়াও আজকের এই মশাল মিছিল রাবি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে যাবে।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল স ম য হত য ছ ত রদল র আম র ভ ই
এছাড়াও পড়ুন:
জাদুঘরে নির্মোহভাবে ভালো-মন্দ সবকিছু তুলে ধরা উচিত: উপদেষ্টা ফারুকী
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, আমাদের জাদুঘরটা নির্মোহ। এখানে কোনো দলমতের পক্ষ নেই। নির্মোহভাবে আমাদের ভালোমন্দ সবকিছু তুলে ধরা উচিত এবং এটা করাটা আমাদের জন্য খুব জরুরি।
গতকাল রোববার আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
এর আগে সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। দিবসটি ঘিরে এই আয়োজনে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে ‘ফেয়ার ওয়াটার’ শীর্ষক বিশেষ প্রদর্শনী।
ফারুকী বলেন, আমি বিশ্বাস করি সবাই যদি কমিটেড হন, তাহলে আমরা যাওয়ার আগে পরিবর্তনের সূচনা করতে পারব। প্রতিটি জাদুঘরের নিজস্ব চরিত্র থাকে। আমাদের জাতীয় জাদুঘরে ‘আমরা কারা’, এ বিষয়টি আমি মনে করি না সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়েছে এখন পর্যন্ত।
তিনি বলেন, জাদুঘরের সঠিকভাবে কিউরেশন করা প্রয়োজন। এখানে শুধু পেশাদার কিউরেশন করলেই হবে না, এখানে সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরতে হবে। আমি আশা করব, স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমদের নেতৃত্বে বোর্ড যখন একটি সম্পূর্ণ দল পাবে, তখন তারা সঠিক লোকদের নিয়োগ দেবেন, যেন এই কাজগুলো ঠিকঠাক মতো হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য লুভা নাহিদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক থাকার জন্য জাদুঘরগুলোকে অবশ্যই বিকশিত হতে হবে। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে প্রযুক্তির বিকাশ এবং মানুষের প্রত্যাশা পরিবর্তিত হওয়ার সঙ্গে জাদুঘরকেও আধুনিক সমাজের চাহিদা পূরণের জন্য খাপ খাইয়ে নিতে হবে। এ জন্য জাদুঘরকে সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিমূলক হওয়া অত্যাবশ্যক। জাদুঘরের ভবিষ্যৎ শুধু অতীত সংরক্ষণের মধ্যেই নয়, বরং একটি উন্নত-জ্ঞাত এবং ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনের মধ্যেও নিহিত।
জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. ফরহাদ সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সভাপতি মেরিনা তাবাসসুম। আলোচক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদ সদস্য ড. সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান। স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. সাদেকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কিপার আসমা ফেরদৌসি।