পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নড়াইল সদর উপজেলার তারাপুর গ্রামের চিত্রা অ্যাগ্রো খামারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বিশালদেহী একটি ষাঁড়। নাম রাখা হয়েছে ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৩৫ মণ, দৈর্ঘ্য ১১ ফুট ও উচ্চতা ৬ ফুট। কুচকুচে কালো রঙের ষাঁড়টি জেলার সবচেয়ে বড় ষাঁড় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফ্রিজিয়ান শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়টি শান্ত স্বভাব ও সুস্থ অবয়বের জন্য আলাদাভাবে নজর কাড়ছে।

প্রায় তিন বছর আগে যশোরের সাতমাইল হাট থেকে ৫০০ কেজি ওজনের ষাঁড়টি কিনেছিলেন চিত্রা অ্যাগ্রোর মালিক মিল্টন শিকদার। তখনই স্থির করেছিলেন, এটিকে বড় করে তুলবেন। স্নেহ, যত্ন আর পুষ্টিকর খাদ্যে ধীরে ধীরে বেড়েছে ষাঁড়টির গড়ন। শরীরের রং কুচকুচে কালো হওয়ায় ষাঁড়টির নাম রাখা হয় ব্ল্যাক ডায়মন্ড। গত কোরবানির ঈদের আগে এটির ওজন দাঁড়ায় ৯০০ কেজিতে। তখন বিক্রি করার পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলান, আরও এক বছর রেখে দেখবেন কী হয়। সেই ব্ল্যাক ডায়মন্ডের বয়স এখন প্রায় সাড়ে চার বছর। দাঁত ৬টি আর ওজন প্রায় ১ হাজার ৪০০ কেজি!

মিল্টন শিকদার বলেন, প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো ধরনের কৃত্রিম মোটাতাজাকরণ না করে ঘাস, খৈল, ভুট্টার গুঁড়া ও চিটাগুড় খাইয়ে ধীরে ধীরে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন। কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করলে এবং অতিরিক্ত খাবার দিলে ষাঁড়টির ওজন আরও অনেক বেশি হতো। তবে তাতে শরীরে চর্বি বেড়ে যেত এবং ষাঁড়টি ঝিমিয়ে পড়ত। কিন্তু পরিমিত প্রাকৃতিক খাবার দেওয়ার কারণেই ব্ল্যাক ডায়মন্ড সুঠাম দেহের অধিকারী ও অত্যন্ত প্রাণবন্ত।

খামারে শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল দেহের অধিকারী ষাঁড় ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’। গতকাল বিকেলে নড়াইল সদর উপজেলার তারাপুরে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ল য ক ড য়মন ড র ওজন

এছাড়াও পড়ুন:

পাবনায় ডোবা থেকে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ

পাবনায় অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে শহরের শালগাড়ীয়া গোরস্থানপাড়ার একটি ডোবা থেকে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে স্থানীয়রা ডোবায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরনে টি-শার্ট ও কালো জিন্স প্যান্ট ছিল।

আরো পড়ুন:

শার্শায় বাক্সের ভেতর ছিল ভ্যানচালকের গলা কাটা মরদেহ 

পলিথিন দেখে চিৎকার করছিল কুকুর, মিলল নবজাতকের মরদেহ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মরদেহে ইতোমধ্যে পচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে তাকে হত্যা করে এখানে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘প্রাথমিক সুরতহালে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এটি হত্যাকাণ্ড কি না সে বিষয়ে পিবিআই তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ