কূটনৈতিক মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনের এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বুধবার দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত এক কর্মকর্তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে ভারতের সরকার। কারণ তিনি এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন যা তার কূটনৈতিক দায়িত্বের পরিপন্থী। ওই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।’’

চলতি মাসের শুরুর দিকে কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। পরে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী। দুই দেশের সামরিক বাহনীর এমন হামলা-পাল্টা হামলা চারদিন ধরে চলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।

যদিও পেহেলগামে হামলার ঘটনার পরপরই উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করেছিল। তবে পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত ক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ