পাকিস্তান হাইকমিশনের আরও এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করলো নয়াদিল্লি
Published: 22nd, May 2025 GMT
কূটনৈতিক মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনের এক কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করেছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘বুধবার দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনে কর্মরত এক কর্মকর্তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে ভারতের সরকার। কারণ তিনি এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন যা তার কূটনৈতিক দায়িত্বের পরিপন্থী। ওই কর্মকর্তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।’’
চলতি মাসের শুরুর দিকে কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৫ ভারতীয় ও এক নেপালি নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মিরে হামলা চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী। পরে ভারতের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী। দুই দেশের সামরিক বাহনীর এমন হামলা-পাল্টা হামলা চারদিন ধরে চলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
যদিও পেহেলগামে হামলার ঘটনার পরপরই উভয় দেশ পাল্টাপাল্টি হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের বহিষ্কার করেছিল। তবে পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর মকর ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
গোয়েন্দা ‘মির্জা’ হয়ে আসছেন মোশাররফ করিম
৫০ বছর বয়সী মির্জা একজন অবিবাহিত প্রাইভেট ডিটেকটিভ। সাত বোনকে নিয়ে তার পরিবার। বোনদের বর্তমানে একটাই লক্ষ্য-ভাইয়ের জন্য যোগ্য পাত্রী খুঁজে বের করা। স্বভাবে আনাড়ি, খেয়ালে হেয়ালি হলেও মির্জা অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং কৌশলী একজন ব্যক্তি। গোয়েন্দাগিরিতে তার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ঈর্ষা করার মতো।
একটি মামলার ঘটনা নিয়েই আগামী ২৩ মে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে আসছে ওয়েব ফিল্ম ‘মির্জা’। ফিল্মটির নামভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। হাস্যরস ও রহস্যের মিশেলে তৈরি এই ওয়েব ফিল্মটি ধরাবাঁধা গোয়েন্দা গল্পের ধারা ভেঙে দর্শকদের সামনে ভিন্ন কিছু নিয়ে আসছে।
গল্পের শুরুতে দেখা যায়, লুনা নামের একজন সুন্দরী তরুণী তার নিখোঁজ যমজ বোনের হদিস পেতে মির্জার কাছে সাহায্য চাইতে এসেছে। আপাতদৃষ্টিতে সাদামাটা একটি মামলা ধীরে ধীরে পরিণত হয় এক বিপদজনক গোলকধাঁধায়। আসলে এই মির্জা দেখতে যতটা সহজ, ঠিক ততটা সহজ নয়; বরং গভীরে আরও কিছু উন্মোচনের বাকি থাকে। যেখানে রয়েছে এক ভয়ঙ্কর মাফিয়া, একজন সন্দেহপ্রবণ পুলিশ কর্মকর্তা আর কিছু ভয়ঙ্কর গোপন সত্য।
পরিচালক সুমন আনোয়ার তাঁর ‘রাতারগুল’, ‘কালাগুল’ ও ‘সদরঘাটের টাইগার’-এর মতো কাজের জন্য সুপরিচিত। মির্জা-তেও তিনি নিজের মুন্সিয়ানা ধরে রেখেছেন। ফিল্মটিতে রহস্য, হিউমার ও বাস্তবজীবনের এক অদ্ভুত রসায়ন তৈরি করেছেন, যা গোয়েন্দা ঘরানায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
সুমন আনোয়ার বলেন, ‘মির্জা একটি জটিল গল্পের গোয়েন্দা আখ্যান। আপনি যখনই ভাববেন সব বুঝে গেছেন, ঠিক তখনই মির্জা এমন কিছু দেখাবে, যা কখনও আপনার চিন্তায় ছিল না।’
এ ফিল্মে মোশাররফ করিম ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন পারসা ইভানা, জুনায়েদ বোগদাদী, খালিদ হাসান রুমি, রাসেল, মামুন, অরণ্য, সৌমি, সামিরা, দোয়েল, বর্না, ঐশী ও শিবলু।