এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের কর্মসূচি স্থগিত
Published: 25th, May 2025 GMT
সারা দেশে কর্মবিরতির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখার কর্মসূচি স্থগিত করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
চারটির অধিকাংশ দাবি পূরণে সরকারের আশ্বাস এবং সমঝোতা হওয়ায় কর্মবিরতির কর্মসূচি আপাতত স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
রবিবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় ঐক্য পরিষদের একজন কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। তবে কী কী সমঝোতা হয়েছে-তা তিনি বিস্তারিত জানাননি।
আরো পড়ুন:
দুই বিভাগ গঠন
৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এনবিআর অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনী: অর্থ মন্ত্রণালয়
এনবিআরের সব দপ্তরে পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি ঘোষণা
এর আগে বিকেলে এনবিআরের নিচতলায় ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে চারটি দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে ছিল ২৬ মে সারা দেশে কর্মবিরতির পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা। তবে ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী পণ্য আমদানি-রপ্তানি এবং আন্তর্জাতিক যাত্রী সেবা এই কর্মসূচির আওতার বাইরে রাখা হয়েছিল। সরকারের আশ্বাসে এসব কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগকে (ইআরডি) সম্প্রতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। যার একটি রাজস্ব নীতি অন্যটি রাজস্ব ব্যবস্থাপনা। এর প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কয়েকদিন ধরে নানা কর্মসূচি দিয়ে আসছে। এবার সরকার তাদের দাবির বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত করল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
ঢাকা/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফারাবীর জামিন
ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শফিউর রহমান ফারাবী অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ জামিন দেন।
বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী। ২০২২ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। বিচারাধীন আপিলে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ফারাবী, যা আজ আদালতের কার্যতালিকায় ১৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে ফারাবীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. এমরান খান।
পরে আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন ফারাবী। ফারাবী ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। মামলায় চারজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের কেউই ফারাবীর নাম উল্লেখ করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষীর বক্তব্যেও তাঁর নাম আসেনি। এসব যুক্তিতে ফারাবীর জামিন চাওয়া হয়। বিচারাধীন আপিলে ফারাবীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎকে। হামলায় অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদও গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এই মামলায় ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
এই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে (শফিউর রহমান ফারাবী) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।