হাজতখানার টয়লেটে পড়ে মাথা ফাটল সাবেক মন্ত্রী কামরুলের
Published: 26th, May 2025 GMT
আদালতে হাজিরা দিতে এসে হাজতখানার টয়লেটে পড়ে মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এরপর তাকে মাথায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ব্যান্ডেজ লাগানো হয়।
আজ সোমবার সকালে দুদকের একটি মামলায় হাজিরার জন্য কামরুল ইসলামকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর তিনি প্রসাব করতে হাজতখানার টয়লেটে যান। পরে মাথা ঘুরে টয়লেটে পড়ে যান তিনি। এতে মাথার পেছনে কেটে রক্তাক্ত হন। এরপর হাজতখানায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কামরুলের আইনজীবী নাসিম মাহমুদ। তিনি বলেন, আজ কামরুল ইসলামকে দুদকের মামলায় আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। গত নভেম্বর থেকে তিনি জেলহাজতে আটকে আছেন। বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত। দিন দিন তার ওজন কমে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তার শরীর দুর্বল। আজকে আদালতের হাজতখানার টয়লেটে পড়ে গিয়ে মাথার পেছনের সাইডে আঘাত পাওয়ার পর রক্তাক্ত হয়েছেন তিনি। পরে পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় তাকে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মাথায় ব্যান্ডেজ দিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাকে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) তারেক জোবায়ের বলেন, হাজতখানায় আনার পর আসামি কামরুল ইসলাম টয়লেটে যান। তিনি হাইপ্রেসারের রোগী। হাইপ্রেসার থাকায় মাথা ঘুরে টয়লেটে পড়ে যান। পড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। আমরা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কারা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আহত আওয় ম ল গ ন ত র হ জতখ ন হ জতখ ন য়
এছাড়াও পড়ুন:
এক সিনেমায় ৩০ চুম্বন
একসময় চলচ্চিত্রে চুম্বন বা অন্তঃরঙ্গ দৃশ্য অকল্পনীয় ব্যাপার ছিল। তবে এখন এটি অনেকটাই স্বাভাবিক। সেটা হলিউড থেকে বলিউড কিংবা বাংলা সিনেমা। বলিউডে একটি সিনেমায় ৩০টি চুম্বন দৃশ্য রাখা হয়েছিল। তা-ও এক যুগ আগে। যদিও সিনেমাটি বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখেনি।
পরিচালক শান্তনু রায় ছিব্বার নির্মাণ করেন ‘থ্রিজি-আ কিলার কানেকশন’ সিনেমা। ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। এতে ৩০টি চুম্বন দৃশ্য রেখেছিলেন নির্মাতা। নিশ্চয়ই ভাবছেন, সিনেমাটির নায়ক ইমরান হাশমি! না, এ সিনেমার নায়ক এই সিরিয়াল কিসার ছিলেন না। বরং এতে অভিনয় করেন নীল নিতিন মুকেশ, সোনাল চৌহান।
স্যাম তার বান্ধবী শিনার সঙ্গে দেখা করতে ফিজিতে গিয়ে নিজের মুঠোফোন হারিয়ে ফেলে। ফলে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর স্যাম একটি থ্রিজি সংযোগসহ মুঠোফোন কিনে। এরপর অপরিচিত নাম্বার থেকে তার মুঠোফোনে একের পর এক কল আসতে থাকে। এই দুই চরিত্রে অভিনয় করেন নীল নিতিন মুকেশ, সোনাল চৌহান। সেই সময়ে অন্যতম ইরোটিক থ্রিলার সিনেমা এটি। এতে ৩০টিরও বেশি চুম্বন দৃশ্য ছিল। এটি ‘মার্ডার’ সিনেমার রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে ইমরান হাশমি, মল্লিকা শেরাওয়াতের ২০টি চুম্বন দৃশ্য ছিল।
১৩ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয় ‘থ্রিজি’ সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর সিনেমাটি মুখ থুবড়ে পড়ে। এটি আয় করে ৫.৯ কোটি রুপি। আইএমডিবির রেটিং ৩.৬। তাছাড়া দর্শক-সমালোচকদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দারুণ প্রভাব ফেলে। এতে ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি-ফাইভ এবং ইউটিউবে সিনেমাটি এখনো দেখা যায়।
তথ্যসূত্র: বলিউড লাইফ
ঢাকা/শান্ত