‘মুজিব’ সিমেমায় ১ টাকা পারিশ্রমিক ও পূর্বাচলে জমি, ব্যাখা দিলেন শুভ
Published: 29th, May 2025 GMT
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০২৩ সালে। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন ঢালিউড অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই সিনেমার জন্য তিনি পরিশ্রমিক নেন মাত্র এক টাকা। বিষয়টি নিয়ে সে সময়ও ব্যাপক আলোচনায় ওঠে এসেছিলেন এ নায়ক। শুধু তাই নয়, এক টাকা পারিশ্রমিকের বিপরীতে পূর্বাচলে রাজউকের প্লট নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা ওঠে বিভিন্ন মহলে।সমকালকে দেওয়া এক স্বাক্ষৎকারে এই দুই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শুভ।
আরিফিন শুভ বলেন, “আশ্চর্য লাগে এই সমালোচনা শুনে মাঝে মাঝে মনে হয়– আমি বুঝি পারিশ্রমিক না নিয়ে কোনো বড় অপরাধ করে ফেলেছি! চুরি করিনি, দুর্নীতি করিনি, দেশের ক্ষতি করিনি। তাহলে কিসের ভিত্তিতে আমাকে ঘিরে এই একতরফা সমালোচনা? আমি যদি বাইরে ১০০ টাকায় কাজ করে এখানে ১০ হাজার টাকা দাবি করতাম–তখন অন্তত সমালোচনার একটা ভিত্তি থাকত। নিজের শ্রমের দাম কি কেউ নিজে ঠিক করে না? আপনিও কি নিজের পছন্দমতো বেতনে চাকরি করছেন না? আর এটাই প্রথম না– কাজের ক্ষেত্রে টাকাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেইনি, আমার কাছে গুরুত্ব পায় টিম, গল্প এসবই। সবশেষ ‘উনিশ ২০’-এর কথাই ধরুন, যেভাবে চুক্তি হয়েছিল, পুরো টাকা নেইনি। চাইলে প্রযোজকের কাছ থেকে শুনতে পারেন।”
ওই সিনেমায় ১ টাকা পারিশ্রমিকের জন্য গেল সরকার আপনাকে পূর্বাচলে জমি উপহার পেয়েছেন- এমন প্রশ্নে উত্তরে শুভ বলেন, “১ টাকার পারিশ্রমিক আর পূর্বাচলের জমি– এই দুই বিষয়ে যে মুখরোচক গল্পটা ছড়ানো হয়েছে, সেটা যতটা শোনা যাচ্ছে, বাস্তবতা থেকে ঠিক ততটাই দূরে। ফেসবুকে তো যা খুশি বলা যায়– প্রমাণ লাগে না, দায়ও নিতে হয় না।”
শুভ বলেন, “রাজউকের ওয়েবসাইটে গেলে একদম স্পষ্ট দেখা যায়– জমি কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়। ‘শিল্পী কোটায়’ এর আগেও ১৫১ জন শিল্পী প্লট পেয়েছেন– তাদের তো কেউ ‘মুজিব’ সিনেমায় ছিলেন না, কেউ ১ টাকা পারিশ্রমিক নেননি। তাহলে? আর আমি কি প্রথম শিল্পী, যিনি রাজউকের জমি পেয়েছি?”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিয়ম মেনে আবেদন করেছি, সরকার নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করেছি– যেমন বাকিরাও করেছেন। কিন্তু আমার ক্ষেত্রেই গল্পটা অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যেন সিনেমা আর জমি কোনো লেনদেনের অংশ! আসলে উদ্দেশ্য পরিষ্কার– তথ্য তুলে ধরা নয়, জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো। আর বিভ্রান্তি তৈরির জন্য সত্যের চেয়ে মিথ্যাটা বেশি কার্যকর।”
এবার ঈদে মুক্তি পাচ্ছে অরিফিন শুভ অভিনীত সিনেমা ‘নীলচক্র’। সিনেমাটি নিয়ে শুভ বলেন, “এই গল্প এখনকার। ইন্টারনেট যুগে একটা অসাবধান ক্লিক পুরো জীবন বদলে দিতে পারে– এটাই দেখানো হয়েছে। সাহসী বলেই করেছি, দরকারি বলেই করেছি। অভিভাবক হোন বা তরুণ– যারা অনলাইনে থাকেন, সবারই দেখা উচিত। চোখ বন্ধ রাখলে বিপদ থেমে থাকে না।”
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর ফ ন শ ভ শ ভ বল ন
এছাড়াও পড়ুন:
বিদায় অনুষ্ঠানে মাস্ককে বড় সোনার চাবি উপহার দিলেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের প্রধান হিসেবে সদ্য অব্যাহতি নিয়েছেন ইলন মাস্ক। শুক্রবার ওভাল অফিসে মাস্কের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইলন মাস্ককে বড় একটি সোনার চাবি উপহার দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড। খবর এএফপি, বিবিসির
এদিন ট্রাম্প একটি কাঠের বাক্সে রাখা বড়সড় সোনার চাবি ইলন মাস্কের হাতে তুলে দেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এ ধরনের উপহার আমি কেবল ‘বিশেষ মানুষদের’ই দেই।’ দেশের পক্ষ থেকে ধন্যবাদস্বরূপ মাস্ককে এ উপহার দেওয়া হলো বলে জানান ট্রাম্প।
ওভাল অফিসে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটা সরকারি দক্ষতা বিভাগের শেষ নয়, বরং সত্যিকার অর্থে সূচনাপর্ব।’
সম্প্রতি ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এ বিভাগে তার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি খরচ কমানো। বিশেষ সরকারি উপদেষ্টা হিসেবে তার মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে ছিল।
গত চার মাসে মাস্কের নেতৃত্বাধীন সরকারি দক্ষতা বিভাগ হাজার হাজার চাকরি কমিয়েছে, একাধিক সরকারি সংস্থা বন্ধ করেছে, এমনকি বৈদেশিক সহায়তায়ও কাটছাঁট করেছে। ২৬ মে পর্যন্ত সরকারি দক্ষতা বিভাগ প্রকল্পের মাধ্যমে আনুমানিক ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিবিসির বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এর মধ্যে মাত্র এক-চতুর্থাংশের নথিপত্র বা প্রমাণ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে মাস্ককে প্রশ্ন করা হয়, সরকারি দক্ষতা বিভাগের সঙ্গে তার ভবিষ্যতের ভূমিকা কেমন হবে? জবাবে তিনি বলেন, তিনি আশা করছেন প্রেসিডেন্ট যখনই চাইবেন, তখনই তিনি পরামর্শ দিতে থাকবেন।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওভাল অফিসে রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্কের প্রশংসা করেন। ট্রাম্পের মতে, মাস্ক যেসব সরকারি সংস্কার কর্মসূচি চালিয়েছেন, তা কয়েক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেন, মাস্ক আসলে ‘সত্যিকার অর্থে বিদায় নিচ্ছেন না’।
মাস্ক যাওয়া-আসার মধ্যে থাকবেন বলে বিশ্বাস তার।
দক্ষিণ আফ্রিকার বংশোদ্ভূত ইলন মাস্ক শুক্রবার ওভাল অফিসে হাজির হয়েছিলেন কালো টি-শার্ট পরে। সেখানে সাদা অক্ষরে লেখা ছিল ‘ডিওজিই ফাদার’। মাস্কের মাথায় ছিল কালো রঙের ক্যাপ। তিনি বলেন, তার ঘোষিত ১ ট্রিলিয়ন ডলার সাশ্রয়ের একটা বড় অংশের ফল পেতে সময় লাগবে।
মাস্ক বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্টের বন্ধু ও উপদেষ্টা হিসেবে পাশে থাকতে চাই।’
তবে মাস্কের এই ঘোষণার চেয়ে তার ডান চোখের চারপাশে থাকা ঘন কালো কালশিটে দাগটি নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়।
শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের কারণে ওই কালশিটে দাগ নিয়ে জল্পনা বেড়ে যায়। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে মাস্ক এত বেশি পরিমাণে কেটামিন নামের মাদক ব্যবহার করেছিলেন যে তার মূত্রাশয়ে সমস্যা দেখা দেয়।
তবে স্পেসএক্স ও টেসলা প্রধান দাবি করেছেন, তারই ছোট ছেলের কারণেই ওই কালশিটে দাগ হয়েছে।