যত দিন ইসলামের পক্ষে আছে, তত দিন অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থন পাবে
Published: 30th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস বলেছে, ইসলামের স্বার্থ রক্ষার শর্তে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে আছে। সরকার যত দিন ইসলাম ও মানবতার পক্ষে কাজ করবে, তৌহিদি জনতা তাদের পাশে থাকবে। অন্যথায় সরকার জনগণের বিশাল একটি অংশের সমর্থন হারাবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বৃহস্পতিবার ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে দাওয়াতি মিছিলের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস।
সংস্কারকাজে সরকার দেশের আলেমদের উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেন খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জাহিদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে তিনি বলেন, ইসলামি মূল্যবোধ বিবেচনায় না নিয়ে সরকার যে সংস্কারের কথা বলছে, তা প্রকৃত পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হবে। সত্যিকার সংস্কার শুধু ইসলামি নীতিমালার ভিত্তিতেই সম্ভব।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ঢাকা জেলা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, শেরপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, বগুড়া, নোয়াখালী, মানিকগঞ্জ, দোহার, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় দাওয়াতি মিছিলের আয়োজন করে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমাদের শান্তিরক্ষীরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ আজ একটি স্বীকৃত এবং অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নাম। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে ধারাবাহিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উন্নত প্রশিক্ষণ, নৈতিক মূল্যবোধ, দক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার প্রমাণ রেখে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আহত শান্তিরক্ষীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠতম শান্তিরক্ষী হিসেবে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও জাতিসংঘের মহাসচিব পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এদিন সকাল সোয়া ৬টায় ঢাকার তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর মসজিদ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগীয় শহরে ‘শান্তিরক্ষী দৌড়/র্যা লি-২০২৫’-এর মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। পরে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়ে প্রাণ হারানো ১৬৮ বীর সৈনিক ও পুলিশ সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। আরও বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী।