নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শনিবার আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে। 

উদ্ধারকারী দল মৃতদেহ উদ্ধার এবং নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

বুধবার রাত থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অব্যাহত মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর নাইজার রাজ্যের গ্রামীণ শহর মোকওয়ায় বন্যা আঘাত হেনেছে।

নাইজার রাজ্য জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার (এনএসইএমএ) মুখপাত্র ইব্রাহিম আউদু হুসেইনি শনিবার জানিয়েছেন, মোকওয়া থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে আরো মৃতদেহ উদ্ধারের পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১ জনে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, বন্যায় কমপক্ষে তিন হাজার ১৮ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ২৬৫টি বাড়ি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে। অনেকে নাইজার নদীতে ভেসে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ট্যাঙ্কো আল জাজিরাকে বলেছেন, “আমরা সবকিছু হারিয়েছি। আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, সম্পত্তি চলে গেছে। আমরা এই বাড়ি থেকে কমপক্ষে ১৫ জনকে হারিয়েছি।”

আরেকজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বলেছেন, “আমি কেবল আমার রাতের পোশাক নিয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন, আমি আমাদের বাড়ি কোথায় ছিল তাও শনাক্ত করতে পারছি না।”

প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু জানিয়েছেন, নাইজেরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ইজ র

এছাড়াও পড়ুন:

৫০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে অনেক জেলা। ঝড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে কমপক্ষে ৫০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক স্থানে বন্ধ রাখা হয় সংযোগ। ‍বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবা। 

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (বিতরণ) আব্দুর রহিম মল্লিক গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সমকালকে জানান, দু’দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে তাদের কমপক্ষে ৫০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। তবে সন্ধ্যার মধ্যে একটা বড় অংশের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। যেসব মোবাইল ফোন টাওয়ার বিদ্যুতের অভাবে অচল হয়ে পড়েছিল, সেগুলো সচল হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ওই লাইনগুলো মেরামতের কাজ চলছে। 

এদিকে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত তিন অপারেটরের অচল হওয়া সাইটের সংখ্যা (টাওয়ার) প্রায় ১৩ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪ হাজার ৪৭৪টি, বাংলালিংকের ৩ হাজার ২০টি এবং রবির ৫ হাজার ৫০০টি টাওয়ার রয়েছে। তবে গতকাল সন্ধ্যার মধ্যে এসব টাওয়ার ৮০ শতাংশ সচল হয়েছে। 

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব শুক্রবার ফেসবুকে লিখেছেন, নিম্নচাপজনিত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বিদ্যুৎবিহীন পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার করতে নিরলস কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুৎসহ টেলিযোগাযোগ সেবার কর্মীরা। 
তিনি লিখেছেন, দুর্যোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বরিশাল, দক্ষিণ সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল ফোন সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৫০ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন