‘বুমরা একধরনের ভ্যাকসিন, দলের অসুস্থতা সারিয়ে তোলে’
Published: 31st, May 2025 GMT
২২৮ রান তাড়ায় গুজরাট টাইটানস ১৩ ওভারে তুলে ফেলেছিল ২ উইকেটে ১৪৮ রান। ওভারপ্রতি ১১ রানের বেশি গড় ধরে রেখে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সাই সুদর্শন ও ওয়াশিংটন সুন্দর। দুজনের জুটিতে ততক্ষণে ৮১ রান উঠে গেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সমর্থকদের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ।
কিন্তু হঠাৎ করেই বদলে গেল গ্যালারির আবহ। বল হাতে নিলেন যশপ্রীত বুমরা। দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে ভাঙলেন সুদর্শন–সুন্দরের জুটি, ঘুরিয়ে দিলেন ম্যাচের মোড়। যে মোড়ের চক্কর থেকে আর বের হতে পারেনি গুজরাট টাইটানস। ২০ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
গতকাল চণ্ডিগড়ের এই ম্যাচে বুমরা শুধু ওই এক ওভারেই নয়, মুম্বাইকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন এর আগে–পরেও। কখনো উইকেট নিয়ে, কখনো রান আটকে। আর তাই তো ম্যাচ শেষে ভারতের এক সাবেক ক্রিকেটার বুমরাকে নিয়ে বলেছেন, ‘সে যেন এক প্রতিষেধক, একধরনের টিকা—যা যেকোনো বোলিং দলের যেকোনো অসুস্থতা সারিয়ে তুলতে পারে।’
গুজরাট–মুম্বাইয়ের এলিমিনেটর ম্যাচটিতে দুই দলই তুলেছে দুই শর বেশি রান, মোট ৪৩৬। এমন রানবন্যার খেলায় বুমরা চার ওভার বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ২৭ রান, নিয়েছেন ১ উইকেট। এর মধ্যে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দেন মাত্র ৪ রান, পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে ১১।
এরপর তাঁকে আবার ফেরানো হয় গুজরাটের রান যখন ১৩ ওভারে প্রায় দেড় শর কাছাকাছি। ১৪তম ওভারে ফিরেই বুমরা দুর্দান্ত ইয়র্কারে বোল্ড করেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে, ভাঙেন সুদর্শনের সঙ্গে তাঁর ৮৪ রানের জুটি। ওই ওভারে বুমরার কাছ থেকে মাত্র ৪ রান বের করতে পেরেছে গুজরাট। শেষ দুই ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ৩৩ রান। ওই সমীকরণে দাঁড়িয়ে বুমরা দেন মাত্র ৯।
দলের যখন যেমন দরকার, তেমনই অবদান রাখছেন যশপ্রীত বুমরা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৌন্দর্য বাড়াতে বোটক্স করা কতটা ভালো
সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখতে এ দেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বোটক্স। মুখে বয়সের ছাপ কমিয়ে, মসৃণ ও প্রাণবন্ত চেহারা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই চিকিত্সাপদ্ধতি। বোটক্স শব্দটি এসেছে বটুলিনাম টক্সিন থেকে। এটি একধরনের প্রোটিন, যা ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে তৈরি হয়।
বোটক্স প্রয়োগ করা হয় ইনজেকশনের মাধ্যমে। এটি বলিরেখা ছাড়াও অন্যান্য সূক্ষ্ম রেখা কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে ত্বক দেখায় আরও তরুণ। এটি একটি নন-সার্জিক্যাল কসমেটিক পদ্ধতি, যা মুখের বিভিন্ন অংশে প্রয়োগ করা হয়। এর মধ্যে আছে কপাল, চোখের চারপাশ ও ঠোঁটের আশপাশ। যদিও এটি একটি বিষাক্ত পদার্থ, কিন্তু নিয়ন্ত্রিত ও সঠিক মাত্রায় ব্যবহার করা হলে এটি নিরাপদ ও উপকারী।
বোটক্স যেভাবে কাজ করেআমাদের মুখের বিভিন্ন অভিব্যক্তি, যেমন হাসি, রাগ বা চিন্তার ফলে মাসল সংকোচন হয়। বারবার এ সংকোচনের ফলে ত্বকে ভাঁজ বা বলিরেখা পড়ে। বোটক্স ইনজেকশন মাংসপেশির ওই সংকোচনপ্রক্রিয়াকে সাময়িকভাবে শিথিল করে দেয়। এটি স্নায়ু ও মাসলের সংযোগস্থলে অ্যাসিটাইলকোলিন নামে একধরনের রিসিপ্টরকে ব্লক করে, ফলে স্নায়ু থেকে মাসলে সংকোচনের সংকেত পৌঁছায় না। এ জন্য সংশ্লিষ্ট মাসল শিথিল থাকে আর ওই জায়গার বলিরেখা কমে যায় বা সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়। ত্বক দেখায় মসৃণ।
সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বোটক্সকপালে বলিরেখা দূর করে।
চোখের পাশের কুঁচকে যাওয়া বা ক্রস ফিট কমায়।
ভ্রুর মাঝের ভাঁজ কমায়।
ঠোঁটের পাশের রেখা ও চোয়ালের অংশকে সুগঠিত করে।
কিছু ক্ষেত্রে ঘাম কমাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুনঅ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি কি খুব ব্যয়বহুল?২১ আগস্ট ২০২৪চিকিত্সায় ব্যবহারবোটক্স দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন কমাতে সাহায্য করে।
চোখের পাতা ঝুলে যাওয়া বা চোখের পাতার খিঁচুনি কমাতে বোটক্স ব্যবহার করা হয়।
এ ছাড়া প্রস্রাব ধরে রাখতে না পারা, অতিরিক্ত লালা ঝরার মতো অসুখেও বোটক্স ব্যবহার করা হয়।
প্রভাব ও স্থায়িত্ববোটক্স প্রয়োগের প্রভাব সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে দেখা যায়। এটি তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এরপর আবার প্রয়োগ করার প্রয়োজন হতে পারে।
সতর্কতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বোটক্স নিরাপদ, তবু এটি প্রয়োগের পর কিছু সাময়িক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন হালকা ব্যথা, ফোলা ভাব, মাথাব্যথা বা ইনজেকশনের স্থানে অস্বস্তি। তাই অবশ্যই এটি প্রশিক্ষিত চিকিত্সকের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে করা উচিত।
বয়সের ছাপ লুকিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে বা সৌন্দর্য বাড়াতে বিশ্বজুড়ে বোটক্স এখন একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর উপায়। তবে মনে রাখা উচিত, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, আত্মবিশ্বাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা সৌন্দর্যের অন্যতম উপাদান।
আরও পড়ুনডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা, ওজন ও ইউরিক অ্যাসিড কমানোসহ কত গুণ চিচিঙ্গার ২২ ঘণ্টা আগে