গ্ল্যামার জগতের জনপ্রিয় মুখ সারিকা সাবরিন। মডেলিং ও অভিনয়ে দীর্ঘদিনের সরব উপস্থিতি তাকে করে তুলেছে দর্শকের প্রিয় তারকা। তবে সম্প্রতি এক বিস্ময়কর গুঞ্জনে সরগরম হয়েছে মিডিয়াপাড়া। সারিকা নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, আর সে কারণেই ভাঙনের মুখে তার দ্বিতীয় সংসার!

এক সময়ের আলোচিত এই অভিনেত্রীর ঘরোয়া জীবনে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এমন গুঞ্জন নতুন নয়। শোনা যাচ্ছিল, স্বামী আহমেদ রাহীর সঙ্গে বিচ্ছেদ নাকি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। এবার যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। গুলশানের এক কেমিক্যাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে সারিকার পরকীয়ার অভিযোগ।

তবে এসব গুঞ্জনের জবাব দিতে আর চুপ থাকলেন না সারিকা। সম্প্রতি এক বক্তব্যে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমাদের দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছর চলছে। এই চার বছরে আমরা এক রাতও আলাদা থাকিনি, এটাই বাস্তবতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় চার বছরে কখনোই আমরা আলাদা থাকিনি। অনেক দম্পতির মতো আমাদের মধ্যেও স্বাভাবিক খুনসুটি বা ঝগড়া হয়েছে, কিন্তু তা কখনোই সম্পর্কের ভাঙনের পর্যায়ে যায়নি। আর সেইসব সামান্য বিষয় আমরা বহু আগেই পেছনে ফেলে এসেছি।’

পরকীয়া ও বিচ্ছেদের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন সারিকা। তার ভাষায়, ‘এই গুজব কোথা থেকে ছড়াল, কে শুরু করল—তা যদি জানতাম, তাহলে এর সমাধান করতে পারতাম। আমি তো স্বামী-সন্তানকে নিয়ে গাড়িতে ঘুরতে বের হয়েছিলাম, সেখানেই এমন খবর শুনে অবাক হয়েছি।’

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই পরিবারের সম্মতিতে আহমেদ রাহীর সঙ্গে সারিকার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এর আগে ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিম খানকে ভালোবেসে প্রথম বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই সংসারে একটি কন্যাসন্তান থাকলেও ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

গুজব যতই উঠুক, সারিকা বলছেন—স্বামী-সন্তানকে নিয়ে তার সংসার ভালোই চলছে। এখন শুধু সময়ই বলবে, এই গুঞ্জনের পেছনে বাস্তবতা কতটা, আর কতটাই বা নিছক রটনা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ঞ জন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ