জবির ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল হালনাগাদের দাবি
Published: 1st, June 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল তথ্য হালনাগাদ দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
রবিবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অধিকাংশ শিক্ষকের প্রোফাইলে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণা, প্রকাশনা ও একাডেমিক অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য অনুপস্থিত। অনেক শিক্ষক ছবি পর্যন্ত দেননি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, একাডেমিক দায়বদ্ধতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে নেতিবাচক প্রস্তাব ফেলছে।
আরো পড়ুন:
১৯ মাসে ইবির ক্লাব ভাড়া বকেয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা, গাফিলতির অভিযোগ
কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, গবেষণার গুণমান এবং শিক্ষার পরিবেশ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র্যাংকিং, ওয়েবোমেট্রিক্স প্রভৃতি সংস্থা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলোকেই গুরুত্ব দেয়। অথচ শিক্ষকদের তথ্য অনুল্লিখিত থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান সেই মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে।
স্মারকলিপিতে চারটি দাবি তুলে ধরেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষককে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিজ নিজ প্রোফাইল পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে বাধ্যতামূলক করা; আইসিটি সেলের মাধ্যমে একটি কারিগরি সহায়তা ইউনিট গঠন করে শিক্ষকদের তথ্য আপলোডে সহায়তা করা; বিভাগভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করে তথ্য হালনাগাদের অপ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা; প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজি আহাদ, উম্মে হাবিবা প্রমুখ।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “আমরা মনে করি, এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং গবেষণার পরিবেশকে উন্নত করবে। এটি শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, তথ্য জানার অধিকার শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র স ম রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত
ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।
আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।
সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।