বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল তথ্য হালনাগাদ দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি। 

রবিবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করে সংগঠনটি। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির পক্ষ থেকে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অধিকাংশ শিক্ষকের প্রোফাইলে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণা, প্রকাশনা ও একাডেমিক অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য অনুপস্থিত। অনেক শিক্ষক ছবি পর্যন্ত দেননি, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, একাডেমিক দায়বদ্ধতা এবং আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিংয়ে নেতিবাচক প্রস্তাব ফেলছে।

আরো পড়ুন:

১৯ মাসে ইবির ক্লাব ভাড়া বকেয়া প্রায় ৭ লাখ টাকা, গাফিলতির অভিযোগ

কুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি, গবেষণার গুণমান এবং শিক্ষার পরিবেশ মূল্যায়নের ক্ষেত্রে টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র‍্যাংকিং, ওয়েবোমেট্রিক্স প্রভৃতি সংস্থা ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যগুলোকেই গুরুত্ব দেয়। অথচ শিক্ষকদের তথ্য অনুল্লিখিত থাকায় আমাদের প্রতিষ্ঠান সেই মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে।

স্মারকলিপিতে চারটি দাবি তুলে ধরেছে সংগঠনটি। সেগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষককে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিজ নিজ প্রোফাইল পূর্ণাঙ্গভাবে হালনাগাদ করতে বাধ্যতামূলক করা; আইসিটি সেলের মাধ্যমে একটি কারিগরি সহায়তা ইউনিট গঠন করে শিক্ষকদের তথ্য আপলোডে সহায়তা করা; বিভাগভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করে তথ্য হালনাগাদের অপ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা; প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে প্রশাসনিকভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজি আহাদ, উম্মে হাবিবা প্রমুখ।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “আমরা মনে করি, এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং গবেষণার পরিবেশকে উন্নত করবে। এটি শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, তথ্য জানার অধিকার শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। আর এই অধিকার নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্ব।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র স ম রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

বৈষম্যবিহীন সমাজ গঠনে বাজেটে নেওয়া পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়: সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের মূল দর্শন ‘বৈষম্যবিহীন সমাজ’ গঠনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে বাস্তবে নেওয়া পদক্ষেপগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লাগ (সিপিডি)।

বাজেটের আকার ছোট করা হলেও রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, তা অর্জন করা কঠিন হবে। রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাকে বড়-ই বলা যায়। আর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলেও মনে করছে সংগঠনটি।

সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেন। পরে বিকেলে সংগঠনটি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে বাজেটে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু ভালো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে বাজেটে পুরো একটি কাঠামোগত পরিবর্তন সেটি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। একই কাঠামোর মধ্যে এখানে একটু বেশি, ওখানে একটু কম করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাজেটের যে মূল দর্শন, বৈষম্যবিহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে, উদ্দেশ্যের সঙ্গে বাস্তবে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া হয়েছে, সবক্ষেত্রে সেটি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘বাজেটের আকার সামান্য ছোট করা হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও কিছুটা কাটছাট করা হয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকট উচ্চমূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে সমস্যা সর্বোপরি রাজস্ব আহরণের সমস্যা অর্থাৎ কম রাজস্ব আহরণ। এই প্রেক্ষাপটগুলো বিবেচনায় নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করেছেন বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৫ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এটিকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। ৮ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা, এটি একটি বড় লক্ষ্যমাত্রাই বলা যায়। সেদিক থেকে খুব ছোট যে বলা যাবে, তা নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এটি উদ্বেগজনক। সামাজিক কর্মসূচির আওতায় ১৪০ টি কর্মসূচি সমান্তরালে চলতো। এখন সেটি কমিয়ে ৯৫টি করা হয়েছে। সেখানে অর্থ বরাদ্দ কম করা হয়েছে। এটিও ভালো লক্ষ্যণ নয়।’

ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটি একটি ভালো দিক। মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এটি খুব ভালো হয়েছে তা নয়। তবে এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। জুলাই যোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে, এটিকে আমরা ভালো পদক্ষেপ মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘নিম্ন মধ্যবিত্তের ক্ষেত্রে কর দেওয়ার প্রবৃদ্ধি তাদেরকেই বেশি কর দিতে হবে, আবার যারা উচ্চবিত্ত রয়েছে তাদের কর দেওয়ার হার বেশি হবে না। এখানে আমরা একটি বৈষম্য দেখছি। অঞ্চলভিত্তিক নূন্যতম কর ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে, এটিকে আমরা বৈষম্য হিসাবে দেখছি ‘

তিনি আরও বলেন, ‘কালো টাকার বিষয়টি এবারও রয়ে গেছে। যদিও এখানে হার বাড়ানো হয়েছে। কালো টাকার সুযোগ দিয়ে যারা নৈতিকভাবে আয় করে তাদের প্রতি আঘাত দেওয়া। এটা একবার দুইবার সুযোগ দিয়ে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিহীন সমাজ গঠনে বাজেটে নেওয়া পদক্ষেপ সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়: সিপিডি
  • ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে শহীদ আফ্রিদি, তোপের মুখে ক্ষমা চাইলেন আয়োজকেরা
  • অপকর্ম, চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সংগঠন ছাড়লেন বরিশালের তিন নেতা
  • অধ্যাপক আনোয়ারাকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এইচআরএফবির নিন্দা
  • গাজাবাসীর জন্য মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কোরবানির উদ্যোগ
  • মে মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৮ মৃত্যু
  • মে মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৮ মৃত্যু, ৬ জনই নিহত বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বে
  • কৃষি খাতে বিনিয়োগে সরকারি-বেসরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি
  • প্রজেক্ট এসথার: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলন দমাতে যেভাবে কাজ করছে সংগঠনটি