১৯৭১ সালে ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডেতে একটি দলের নাম ছিল ইংল্যান্ড। এরপর কেটে গেছে ৫৪ বছর। এ সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭ হাজার রান করেছেন ৪৬ জন ব্যাটসম্যান। তবে ইংল্যান্ডের হয়ে কারও ৭ হাজার রান ছিল না। এ নিয়ে যদি ইংল্যান্ডের কোনো আক্ষেপ থেকে থাকে তবে সেটি দূর হয়ে আজ। ইংল্যান্ডের প্রথম ও ইতিহাসের ৪৭তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন জো রুট।

কার্ডিফে মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে দলকেও জিতিয়েছেন রুট। তাঁর ১৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ৩০৯ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেটা জিতেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশরা জিতেছে ৩ উইকেট ও ৭ বল হাতে রেখে। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজটাও এক ম্যাচ হাতে থাকতে জিতে গেছে ইংলিশরা।

১৭৯ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ইনিংসটা আজই খেললেন রুট। এর আগের ১৬ সেঞ্চুরিতে তাঁর সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ১৩৩। ঠিক আট বছর আগে আরেক ১ জুন ওভালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই ইনিংসটি খেলেছিলেন রুট। রুটের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। ২০১৯ সালে জস বাটলারের করা ১৫০ রানের রেকর্ড ভাঙলেন রুট। ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের পঞ্চম সর্বোচ্চ ইনিংস রুটের ১৬৬।

এই ইনিংস খেলার পথেই ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছেন রুট। রুট ম্যাচটি শুরু করেছিলেন ৬৯১৬ রান নিয়ে। ৬৯৫৭ রান নিয়ে তখন ইংল্যান্ডের শীর্ষ ব্যাটসম্যান এইউন মরগান।

রান তাড়ায় রুট যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ঘোর বিপদে ইংল্যান্ড। ২ রান তুলতেই ২ রান নেই দলটি। কোনো রান না করেই ফিরে গেছেন দলটির দুই ওপেনার জেমি স্মিথ ও বেন ডাকেট। এরপর অধিনায়ক হ্যারি ব্রুককে নিয়ে ৮৫ রান যোগ করে ধাক্কাটা সামলান রুট। ৪৭ রান করে ব্রুকের বিদায়ের ৬ রান যোগ হতেই ফিরে যান বাটলার। এরপর জ্যাকব বেথেল যখন ফিরলেন ২৩.

৪ ওভারে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৩৩ /৫।

সেখান থেকে উইল জ্যাকসকে নিয়ে ১৪৩ রানের জুটি গড়েন রুট। জ্যাকস ফিরেছেন ৪৯ রান করে। পরে ব্রায়ডন কার্স ফিরে গেলেও আদিল রশিদকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেওয়া রুটের ১৩৯ বলের ইনিংসটি সাজানো ২১ চার ও ২ ছক্কায়।

এর আগে কিসি কার্টির (১০৩) প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৮ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ছাড়া ৭৮ রান করেছেন অধিনায়ক শাই হোপ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন কর প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২

ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলন কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সিলেট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে নগরের আম্বরখানাস্থ বাসদ কার্যালয় থেকে তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। 

বাসদ নেতারা অভিযোগ করেছেন, সকালে নিয়মিত পাঠচক্র চলাকালে হঠাৎ পুলিশ কার্যালয় ঘেরাও করে নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে যায়। 

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অর্থ সহায়তা দিল শিবির

বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আজ (শনিবার) ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা নগরে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগের সত্যতা মিললে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। গ্রেপ্তারদের নাম পরবর্তীতে জানানো হবে।’’ 

বাসদের সিলেট জেলা সভাপতি আবু জাফর বলেন, ‘‘ব্যাটারিচালিত রিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ (শনিবার) চৌহাট্টা থেকে আমাদের পূর্বঘোষিত ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি ছিল। কিন্তু শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাতে পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। তবে সব শ্রমিককে তা জানানো সম্ভব হয়নি। সকালে শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন শ্রমিক জড়ো হন। কিন্তু কার্যালয়ে শুধু পাঠচক্র চলছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ২২ নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে।’’

এর আগে একই ইস্যুতে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ী এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমনকেও আটক করে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। ওই সময় আনোয়ার হোসেন সুমনসহ কয়েকজন বামঘরানার রাজনীতিকও আন্দোলনে অংশ নেন। আন্দোলনকারীরা ব্যাটারি রিকশা চলাচলের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে তা মেনে নিতে রবিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। সেই আলটিমেটাম শেষ হওয়ার একদিন আগে সিপিবির সুমন ও বাসদের ২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হলো।

শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, ‘‘ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে সংঘাতের আশঙ্কায় রবিবারের কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’ 

গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে শতাধিক রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। 
 

ঢাকা/নুর/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত
  • শাহরুখকে ‘কুৎসিত’ বলেছিলেন হেমা মালিনী, এরপর...
  • প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
  • জেমিনিতে যুক্ত হলো গুগল স্লাইডস তৈরির সুবিধা, করবেন যেভাবে
  • নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • বিশ্বের প্রথম ৫ লাখ কোটি ডলারের কোম্পানি এনভিডিয়া