ফসলি জমিতে বসে আছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তার পরনে আধুনিক পোশাক। মাথার চুলগুলে আলগা করে ছেড়ে দেওয়া, মুখে হাসির ঢেউ। নিড়ানি হাতে ফসলের গোড়া পরিষ্কার করছেন। রবিবার (১ জুন) বিকালে অফিশিয়াল ফেসবুকে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেছেন বুবলী। তারই একটি এমন লুকে দেখা যায় তাকে।
অন্য ছবিগুলোর কোনোটি কমলা বাগানে, কোনোটি কাঁঠাল গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন বুবলী। এসব ছবির ক্যাপশনে লেখেন— “ভবিষ্যতে পুরোদমে কৃষি কাজ করব, ফুল, ফল, শাক-সবজি চাষ করব, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালব। কারণ প্রকৃতি একটু বেশিই সুন্দর, তাই প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই।”
শবনম বুবলী
আরো পড়ুন:
নিরবের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ওপারের ইধিকা
অপুকে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা না বলার আহ্বান জয়ের
বুবলীকে দেখে ও তার ভাবনার কথা জেনে নেটিজেনরা নানা ধরণের মন্তব্য করছেন। অনেকে বুবলীর রূপের প্রশংসা করছেন, কেউ আবার তার ভাবনার কথা জেনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
পেশাগত জীবনের শুরুতে বিমানের কেবিন ক্রু ছিলেন বুবলী। পাশাপাশি সংবাদপাঠিকা হিসেবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কয়েক বছর কাজ করেন। ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক দশক।
বুবলী তার অভিনয় ক্যারিয়ারে ২৩টির মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। ১০ বছরে শাকিব খানের সঙ্গে ১২টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করেন বুবলী। এরপর এ জুটিকে আর দেখা যায়নি।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে বুবলী অভিনীত ‘সর্দারবাড়ির খেলা’ সিনেমা। এতে বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল রোশান। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটি সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে মুক্তির অনুমতি পেয়েছে।
আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমা অভিনয় করছেন শবনম বুবলী। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটির শুটিং চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায়। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিগুলো সেখানে তোলা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ক জ কর ন ব বল করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।