Risingbd:
2025-09-18@01:17:45 GMT

পুরোদমে কৃষি কাজ করব: বুবলী

Published: 1st, June 2025 GMT

পুরোদমে কৃষি কাজ করব: বুবলী

ফসলি জমিতে বসে আছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। তার পরনে আধুনিক পোশাক। মাথার চুলগুলে আলগা করে ছেড়ে দেওয়া, মুখে হাসির ঢেউ। নিড়ানি হাতে ফসলের গোড়া পরিষ্কার করছেন। রবিবার (১ জুন) বিকালে অফিশিয়াল ফেসবুকে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেছেন বুবলী। তারই একটি এমন লুকে দেখা যায় তাকে। 

অন্য ছবিগুলোর কোনোটি কমলা বাগানে, কোনোটি কাঁঠাল গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন বুবলী। এসব ছবির ক্যাপশনে লেখেন— “ভবিষ্যতে পুরোদমে কৃষি কাজ করব, ফুল, ফল, শাক-সবজি চাষ করব, হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালব। কারণ প্রকৃতি একটু বেশিই সুন্দর, তাই প্রকৃতির খুব কাছে থাকতে চাই।” 

শবনম বুবলী

আরো পড়ুন:

নিরবের সঙ্গে জুটি বাঁধলেন ওপারের ইধিকা

অপুকে ধর্ম নিয়ে মিথ্যা না বলার আহ্বান জয়ের

বুবলীকে দেখে ও তার ভাবনার কথা জেনে নেটিজেনরা নানা ধরণের মন্তব্য করছেন। অনেকে বুবলীর রূপের প্রশংসা করছেন, কেউ আবার তার ভাবনার কথা জেনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

পেশাগত জীবনের শুরুতে বিমানের কেবিন ক্রু ছিলেন বুবলী। পাশাপাশি সংবাদপাঠিকা হিসেবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে কয়েক বছর কাজ করেন। ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে তার। এরপর কেটে গেছে প্রায় এক দশক।

বুবলী তার অভিনয় ক্যারিয়ারে ২৩টির মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। ১০ বছরে শাকিব খানের সঙ্গে ১২টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘লিডার আমিই বাংলাদেশ’ চলচ্চিত্রে সর্বশেষ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করেন বুবলী। এরপর এ জুটিকে আর দেখা যায়নি।

ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে বুবলী অভিনীত ‘সর্দারবাড়ির খেলা’ সিনেমা। এতে বুবলীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন জিয়াউল রোশান। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটি সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে মুক্তির অনুমতি পেয়েছে।

আব্দুন নূর সজলের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘শাপলা শালুক’ সিনেমা অভিনয় করছেন শবনম বুবলী। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটির শুটিং চলছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায়। ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিগুলো সেখানে তোলা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র ক জ কর ন ব বল করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার