চট্টগ্রামে ভূমিধসের শঙ্কায় বায়েজিদ সংযোগ সড়কের এক পাশ বন্ধ
Published: 2nd, June 2025 GMT
টানা বৃষ্টিতে ভূমিধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ সংযোগ সড়কের এক পাশে পাঁচ দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কটির এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির পাশে পাহাড়ের কিছু মাটি ও গাছপালা পড়ে এরই মধ্যে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
বায়েজিদ থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে এখন একমুখী যান চলাচল করছে। আজ সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, সড়কটির এক পাশে খাঁড়া পাহাড় থেকে মাটি পড়ে দুটি জায়গায় স্তূপ হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া একটি গাছও পড়ে রয়েছে সড়কের ওপর।
সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদ বিন আনোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে সড়কটির এক পাশ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে খুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রামে ছয় দিন ধরে মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আজও বৃষ্টি হচ্ছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ১৩৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ভূমিধসের আশঙ্কায় বায়েজিদ সংযোগ সড়কের এক পাশে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প থেকে হবিগঞ্জকে ‘বাদ দেওয়ার চেষ্টার’ প্রতিবাদ
হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প থেকে হবিগঞ্জ অংশ বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে—এমন অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে অংশ নেন হবিগঞ্জ সদর ও লাখাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শতাধিক বাসিন্দা।
হবিগঞ্জ সদর ও লাখাইবাসীর ব্যানারে বেলা একটার দিকে এই মানববন্ধন শুরু হয়।
এতে বক্তারা বলেন, সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই-হবিগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৬৬১ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। কিন্তু নাসিরনগর থেকে সরাইল পর্যন্ত সড়কটির প্রশস্তকরণের কাজ শুরু হলেও হবিগঞ্জ অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অথচ সড়কটির উন্নয়ন হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট বিভাগের দূরত্ব কমবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। এতে যাতায়াত খরচ কমবে। এ ছাড়া সড়কের পাশে শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।
বক্তাদের দাবি, হবিগঞ্জ-লাখাই-নাসিরনগর-সরাইল আঞ্চলিক মহাসড়কটি হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যাতায়াত সহজ করেছে। প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন ও কয়েক লাখ মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। চার জেলার মধ্যে আর্থসামাজিক, কৃষি ও শিল্পসংশ্লিষ্ট যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কের উন্নয়ন হলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের সঙ্গে বিকল্প ও কার্যকর সংযোগ গড়ে তোলার মাধ্যমে আঞ্চলিক অর্থনীতি বেগবান হবে। পণ্য পরিবহন সহজ হবে। স্থানীয় জনগণের ভ্রমণ ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ী হবে। সেই সঙ্গে সড়কে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু সড়কটির নাসিরনগর-সরাইল অংশে কাজ শুরু হলেও হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ার চেষ্টা চলছে। যদি প্রকল্পের হবিগঞ্জ-লাখাই অংশ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়, তাহলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে ঢাকার সঙ্গে সিলেট বিভাগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইসলাম তরফদার ও এনামুল হক, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা রফিক, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা লাভলী সুলতানা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ প্রমুখ।