ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে রংপুরে সাব কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন
Published: 2nd, June 2025 GMT
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার মর্ডান মোড়ে সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি) ও র্যাব-১৩।
সোমবার (২ জুন) দুপুরে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা ও সেবাদানের লক্ষ্যে গৃহীত এ উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরপিএমপি কমিশনার সাগরিকা মজিদ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদীন। এছাড়াও আরপিএমপি ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
বসুন্ধরায় ক্যাফে লিও’র প্রিমিয়াম আউটলেটের উদ্বোধন
পেশা ও দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই: সংসদ সচিব
সাব কন্ট্রোল রুম থেকে ঈদ-পূর্ববর্তী ও ঈদ-পরবর্তী সময়ে যানবাহনের চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও জরুরিসেবা প্রদান সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এবং এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
পুলিশ কমিশনার সাগরিকা মজিদ আলী বলেন, ‘‘ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা যেন নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হয়, সেজন্য আমরা কাজ করছি। এই সাব কন্ট্রোল রুম থেকে সব ধরনের তথ্য, দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দেয়া হবে।’’
র্যাব অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘‘অপরাধ দমন ও যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য র্যাব ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে এই সাব কন্ট্রোল রুম বিশেষ সহায়ক হবে।’’
সাব কন্ট্রোল রুমটি ঈদের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/আমিরুল/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’