একজন শিল্পী অভিনয়ে নিজেকে ভেঙে কতগুলো চরিত্র পর্দায় তুলে ধরতে পারেন, এবার যেন তারই পরীক্ষা দিয়েছেন ইধিকা পাল। এক সিনেমায় সাত চরিত্রে অভিনয় করে চমকে দিয়েছেন সিনে জগতের বাসিন্দাদের। প্রমাণ করলেন, সব ধরনের চরিত্রে অভিনয়ে তিনি পারদর্শী।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আকাশ মালকার নির্মিত ‘বহুরূপ’ সিনেমায় ইধিকাকে সাত চরিত্রে দেখা যাবে। সিনেমায় তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন সোহম চক্রবর্তী। এরই মধ্যে ‘বহুরূপ’-এর নতুন পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে আনকোরা এক লুকে দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর। সিনেমাটি নিয়ে ভীষণ আশাবাদী ইধিকা পাল।

তিনি বলেন, ‘‘বহুরূপ’ আমার কাছে অন্যরকমের একটা ছবি। আমি এ রকম কাজ এখনও করিনি। আমি সবসময় চাই এমন চরিত্রে অভিনয় করতে যাতে দর্শকের আগ্রহ বেশি থাকে। আমি প্রথম থেকেই ভাবছিলাম কীভাবে চরিত্রগুলো পর্দায় তুলে ধরব। তাই এটা আমার কাছে যতটাই আগ্রহের ছিল, ততটাই চ্যালেঞ্জিং ছিল।”

ইধিকা পালের কথায়, “আমি অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি এই কাজটা করতে গিয়ে। সোহম চক্রবর্তীর মতো অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি এটা আমার সৌভাগ্য। তাঁর কাছ থেকেও শিখেছি অনেক। এই ছবির পরিচালকও নতুন কিন্তু তা তাঁর কাজে প্রকাশ পায়নি; বরং অভিজ্ঞ মনে হয় কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা দেখে। আমরা সবাই কাজটা নিয়ে খুব এক্সাইটেড ছিলাম। এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছি ছবির পুরো টিম। বাকিটা এবার দর্শক বলবে।”

বাংলাদেশি সিনেমা ‘প্রিয়তমা’ দিয়ে বড়পর্দায় ইধিকা পালের উত্থান। প্রথম সিনেমাতেই অনিন্দ্য অভিনয় দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করেছেন। তাঁর আগে ইধিকা দর্শক মনোযোগ কেড়েছিলেন ছোটপর্দার ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় দিয়ে। সেই সুবাদে বাংলাদেশের ‘প্রিয়তমা’ সিনেমায় অভিনয়ের ডাক পেয়েছিলেন। যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন বাংলাদেশের শাকিব খান।

‘প্রিয়তমা’ ব্লকবাস্টার হওয়ার পর একই অভিনেতার বিপরীতে আরও একবার ‘বরবাদ’ সিনেমায় দেখা গেছে ইধিকাকে। এই সিনেমাও আলোড়ন তুলেছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সিনেমাপ্রেমীদের মাঝে। এ ছাড়াও কলকাতায় দেবে বিপরীতে ‘খাদান’ সিনেমায় অভিনয় করে পেয়েছেন সাফল্যের দেখা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব পর ত চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।

‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।

আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।

আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।

আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।

পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।

চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ