তুরস্কের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মুগলার মারমাসির উপকূলে ৫.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ঘটনায় ১৪ বছর বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদুলু এজেন্সি।
মুগলা গভর্নর ইদ্রিস একবিয়িক বলেছেন, মঙ্গলবার শক্তিশালী এ ভূমিকম্প আঘাত হানলে বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ১৪ বছর বয়সী ওই মেয়েটি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে তাকে হাসপাতলে নেয়া হলেও আর বাঁচানো যায়নি।
মারমারিস উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরের ৬৭ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে অনেকে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে উঁচু ভবন থেকে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
গভর্নর একবিয়িক বলেন, ভূমিকম্পে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ৬৯ জন আহত হয়েছেন। এদরে মধ্যে ৫৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী ১৪ জনকে ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আহতের মধ্যে ৪৬ জনকে জরুরি বিভাগে সেবা দেয়া হয়।
এর আগে তুরস্কে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১১টি প্রদেশে ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত রস ক ভ ম কম প ভ ম কম প ত রস ক ত হয় ছ আতঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল