রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তৃতীয় শ্রেণির এক কর্মচারীর ৩৬টি ফ্ল্যাটের মালিকানা থাকার অভিযোগে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে ২৫ মে তদন্ত কমিটি গঠন করে রাজউক। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মচারী হলেন, রাজউকের পরিদর্শক কাজী আমীর খশরু। 

১৮ মে সমকালে ‘ঢাকায় রাজউকের এক পরিদর্শকের ৩৬ ফ্ল্যাট’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে ৩৬টি ফ্ল্যাট ছাড়াও তিনটি প্লটের বিষয় উল্লেখ করা হয়। এরপরই রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। 

রাজউকের অফিস আদেশে বলা হয়, ‘১৮ মে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলো। নিয়োগপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তাকে পত্র জারির ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ অফিস আদেশটি জারি করেন রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) এবিএম এহছানুল মামুন। 

তদন্ত কর্মকর্তা কোন বিষয়গুলো তদন্ত করবেন সে প্রসঙ্গে রাজউকের বোর্ড সদস্য (প্রশাসন) ড.

মো. আলম মোস্তফা সমকালকে বলেন, ‘সমকালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যেসব অনিয়ম, অসাধুতা ও অস্বাভাবিক সম্পত্তির বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করবে। এরপর অভিযুক্ত কর্মচারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জউক র জউক র সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ