বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আগেই ঘোষণা দিয়েছিল বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের একটি অংশ দেওয়া হবে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে। মঙ্গলবার সেই অর্থ ছাড় দিয়েছে বিসিবি। 

সব মিলিয়ে সাতটি দলকে ৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বকেয়া পারিশ্রমিক, ফ্রাঞ্চাইজি ফি ও অনান্য খরচ কেটে রেখে বাকি টাকা ফ্রাঞ্চাইজিকে দেয়া হচ্ছে। প্লে-অফে ওঠা চার দলের জন্য বরাদ্দ ৫৫ লাখ টাকা করে, অন্য তিন দলের জন্য ৪৫ লাখ টাকা করে। এছাড়া প্রাইজমানি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল আড়াই কোটি, রানার্সআপ দল দেড় কোটি ও তৃতীয় দল ৬০ লাখ এবং চার নম্বর দল ৪০ লাখ টাকা করে পাচ্ছে। 

বিসিবির শর্ত অনুযায়ী, যেসব দল খেলোয়াড়দের শতভাগ পাওনা পরিশোধ করেছে, তাদেরই দেওয়া হয়েছে বিপিএলের টিকিট বিক্রি থেকে আয়ের এই অংশ ও প্রাইজমানি। সেই মোতাবেক ফরচুন বরিশাল ও রংপুর রাইডার্স টিকিট বিক্রির বরাদ্দকৃত টাকা পেয়েছে।

আরো পড়ুন:

২৪ ঘণ্টায় দুবাই-ঢাকায় রাসেলের দুই ম্যাচ, আশরাফুল বললেন, ‘আদর্শ নয়’

বিপিএলে নানা অনিয়ম, আসিফ মাহমুদের কড়া হুঁশিয়ারি 

ফরচুন বরিশাল আড়াই কোটি টাকা চ্যাম্পিয়ন প্রাইজ মানি আগেই পেয়েছে। টিকিটের লভাংশ থেকে তারা পেয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। তাদের কোনো বকেয়া না থাকায় পুরো ৫৫ লাখ টাকাই পাচ্ছে। রংপুর রাইডার্সের খেলোয়াড়দের কোনো পারিশ্রমিক বকেয়া নেই। তাদের ফ্রাঞ্চাইজি ফি ৫০ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। সেই অর্থ কেটে রেখে ৪৫ লাখ টাকা পাচ্ছে রংপুর রাইডার্স।  

চিটাগং কিংসের খেলোয়াড় পারিশ্রমিক, ফ্রাঞ্চাইজি ফি ও হোটেল বিল বকেয়া ছিল। বিসিবি থেকে তাদের পাওয়ার কথা ২ কোটি ৫ লাখ টাকা। যেখানে প্রাইজমানি দেড় কোটি। ৫৫ লাখ টাকা টিকিট বিক্রি থেকে। তাদের খেলোয়াড় পারিশ্রমিক বকেয়া ছিল ৫২ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা। হোটেল বিল বকেয়া ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া ফ্রাঞ্চাইজি ফি বাকেয়া আরো ১৫ লাখ টাকা। তাদের পাওণা ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা। 

খুলনা টাইগার্সেরও প্লেয়ার্স পেমেন্ট ও ফ্রাঞ্চাইজি ফি বকেয়া। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ৪৮ লাখ টাকা। ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২৫ লাখ। সেসব কেটে তারা পাবে ৪২ লাখ টাকা। ঢাকা ক্যাপিটালসের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি ফি বকেয়া নেই। তবে ৪৫ লাখ টাকা প্লেয়ার্স ফি বকেয়া থাকায় তারা কোনো অর্থ পাচ্ছে না বিসিবি থেকে।

সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্বার রাজশাহী যে অর্থ পেত, বিসিবি থেকে তার থেকে বেশি বকেয়া তাদের। দুই দলকেই ৪৫ লাখ টাকা করে দেয়ার কথা। কিন্তু সিলেটের প্লেয়ার্স পেমেন্ট বকেয়া ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফ্রাঞ্চাইজি ফি বকেয়া ২৫ লাখ। সব টাকা পরিশোধের পর সিলেটের থেকে বিসিবির পাওণা ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া দুর্বার রাজশাহীর প্লেয়ার্স পেমেন্ট বকেয়া ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বিসিবি এখন তাদের থেকে পাবে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সবশেষ বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। খেলোয়াড়দের চেক বাউন্স, অনুশীলন বয়কট, ম্যাচ না খেলার হুমকি, বিদেশীদের ম্যাচ বয়কট…কত কিছু হয়েছে। এতো কিছুর মাঝেও বিসিবি এবার ফ্রাঞ্চাইজিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। 

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ জানান, এবারের বিপিএলে টিকিট বিক্রি ও টিকিটের স্বত্ব বিক্রি মিলিয়ে মোট সোয়া ১৩ কোটি টাকার মতো আয় হয়েছে। সেখান থেকেই এবার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে অর্থ বরাদ্দ দিল বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। 
 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ২০২৪ ৪৫ ল খ ট ক ফ র ঞ চ ইজ ৫৫ ল খ ট ক প র ইজম ন প র ইজ ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ