তহবিল–সংকট কাটলে দ্রুতই রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চালু হবে: ইউনিসেফ
Published: 3rd, June 2025 GMT
তহবিল–সংকটের কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য ইউনিসেফ সহায়তায় পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইউনিসেফ বলেছে, অর্থের সংস্থান হলে দ্রুত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো আবারও চালু করা হবে।
আজ মঙ্গলবার ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে বিশ্বে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম তহবিলের সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে তাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য কিন্ডারগার্টেন, গ্রেড–১ ও গ্রেড–২ এ নিয়োজিত ১ হাজার ১৭৯ শিক্ষকের সঙ্গে ইউনিসেফের অংশীদারদের থাকা চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, চুক্তি বাতিল হওয়া এসব শিক্ষকের মধ্যে ইংরেজি, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও অংকনের (ড্রয়িং) শিক্ষকেরাও রয়েছেন। ঈদ ও এর পরবর্তী ছুটি (২৯ জুন পর্যন্ত) শেষে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বাকি কর্মীদের শিক্ষাকেন্দ্রে তাদের কার্যক্রমে ফিরে আসাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে নতুন অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার ওপর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক কমিউনিটি ও আমাদের অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইউনিসেফ প্রতিটি শিশুর কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা রোহিঙ্গা শিশুদের প্রাপ্য শিক্ষা ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সম্পদ জোগাড় করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুনতহবিল–সংকটের ঝুঁকিতে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা০২ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন স ফ
এছাড়াও পড়ুন:
ইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও এক মামলায় ৩ বছর কারাদণ্ড
প্রতারণার আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ নিয়ে প্রতারণার পৃথক পাঁচটি মামলায় রাসেল ও শামীমা নাসরিনের ১২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ এপ্রিল প্রতারণার একটি মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ যে মামলায় রাসেল দম্পতির সাজা হয়েছে, সেই মামলায় প্রতারণার মাধ্যমে ২৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের একজন গ্রাহক।
৬ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালত প্রতারণার আরেকটি মামলায় এই দম্পতিকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া গত ২৯ জানুয়ারি প্রতারণার অভিযোগে করা আরেকটি মামলায় তাঁদের দুই বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
গত বছরের ২ জুন চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন চট্টগ্রামের আদালত।
২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুজন জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুনইভ্যালির রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর আরও ৩ বছর কারাদণ্ড১৩ এপ্রিল ২০২৫