বিপিএলের টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার কোন দলের সঙ্গে কত দেনা–পাওনা, তার হিসাব দিয়েছে তারা। আজ রাতে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব নিয়ে ৩১ মের বোর্ড সভার সিদ্ধান্তগুলোর কথা জানিয়েছে বিসিবি। আগেই জানানো হয়েছে, বিপিএলের প্লে–অফে খেলা চার দল টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ হিসেবে ৫৫ লাখ ও বাকি চারটি ৪৫ লাখ টাকা পাবে।

সর্বশেষ আসরের দল চিটাগাং কিংসের দেনা–পাওনার হিসাবটা একটু জটিল—সব মিলিয়ে বিসিবির কাছ থেকে প্রাইজমানি ও টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ মিলিয়ে রানার্স আপ হওয়া দলটির পাওয়ার কথা ২ কোটি ৫ লাখ টাকা। তবে টুর্নামেন্টের সময়ই এক দফায় চিটাগংয়ের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও হোটেল বিল বাবদ ১৫ লাখ টাকা দেয় বিসিবি।

ওই টাকা বাদ দিয়ে বিসিবির কাছে চিটাগং কিংসের পাওয়ার কথা ছিল ১ কোটি ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ১৫ লাখ ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের আরও ৫২ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা বকেয়া তাদের। সব হিসাব বাদ দিলে বিসিবির কাছ থেকে ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা পাবে তারা।

প্রাইজমানি ও টিকিট বিক্রির টাকা বাবদ বিসিবির কাছ থেকে ৯৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা রংপুর রাইডার্সের। তবে তাদের কাছে আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির ৫০ লাখ টাকা পাওনা বিসিবির। তা বাদ দিয়ে এখন তারা পাবে ৪৫ লাখ টাকা।

সিলেট স্ট্রাইকার্সের টিকিট বিক্রির ৪৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল বিসিবির কাছ থেকে। তবে তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ১৫ লাখ টাকা দেয়নি, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকও বাকি ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দেনা–পাওনার হিসাব শেষে এখনো তাদের বকেয়া ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

বিপিএলের গত আসরে সবচেয়ে সমালোচিত দল দুর্বার রাজশাহী টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। তবে তাদের খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ বাকি রয়েছে ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এই টাকা বাদ দিলে বিসিবি উল্টো রাজশাহীর কাছে ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা পাওনা হয়। এই দুই দলের ড্রাফটের ক্রিকেটারদের টাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো না দিলে বিসিবিই মিটিয়ে দেবে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রাইজমানি ও টিকিট বিক্রি বাবদ বিসিবির কাছে খুলনা টাইগার্সের পাওনা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজ ফি বাবদ তাদের কাছ থেকে বিসিবি ২৫ লাখ টাকা পায়, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক তাদের বাকি ৪৮ লাখ টাকা। সব বাদ দিয়ে এখন বিসিবির কাছ থেকে ৪২ লাখ টাকা পাবে খুলনা। এ ছাড়া বিসিবির কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও ঢাকা ক্যাপিটালসের খেলোয়াড়দের সমান অর্থের পারিশ্রমিক বাকি থাকায় এখন তারা আর কোনো টাকা পাবে না, বকেয়াও নেই।

বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল ফরচুন বরিশাল তাদের সব খেলোয়াড়ের পারিশ্রমিক দিয়ে দিয়েছে। প্রাইজমানি বাবদ ইতিমধ্যেই বিসিবির কাছ থেকে আড়াই কোটি টাকা পেয়েছে তারা। এখন টিকিট বিক্রির লভ্যাংশের ৫৫ লাখ টাকা পাবে বরিশাল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র য ঞ চ ইজ ৪৫ ল খ ট ক প র ইজম ন ব প এল র ১৫ ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ