ঈদযাত্রাকে সামনে রেখে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের তিন মহাসড়কে বাড়তে শুরু করেছে যাত্রীর চাপ। ফলে মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে গাড়ির ধীরগতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে, কোথাও কোনো যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ঘরমুখো মানুষদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়।
সাভার হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-আরিচা, আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সড়কে এখনো কোনো যানজট হয়নি। তবে যাত্রী ও পরিবহনের চাপ বাড়ছে।
আরো পড়ুন:
ঈদে বাড়ি ফেরা: গাজীপুরের ২ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে যানবাহনের চাপ দ্বিগুণ
গোলড়া হাইওয়ে পুলিশ জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে কোথাও কোনো যানজট হয়নি।
বুধবার (৪ জুন) সরেজমিনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া, কালামপুর, ধামরাই, নবীনগর, রেডিও কলোনী, সাভার বাসস্ট্যান্ড, হেমায়েতপুর, আমিনবাজার ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কের আশুলিয়া, জামগড়া, ইউনিক এলাকা এবং নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের বাইপাইল, জিরানি, চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও যানজটের চিত্র দেখা যায়নি। তবে, আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল সড়কে জলাবদ্ধতা এবং এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজ চলার কারণে যান চলাচলে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, সাভার বাসস্ট্যান্ড ও হেমায়েতপুর এলাকায় সার্ভিস লেনে কিছুটা ধীরগতি রয়েছে। তবে মূল লেনে কোনো যানজট নেই।
শিল্পাঞ্চল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুপুরের পরে পোশাক কারখানা ছুটি হলে সড়কে যাত্রীর চাপ বৃদ্ধি পাবে। এরইমধ্যে অনেকে ঢাকা ত্যাগ করতে বের হয়েছেন। যে কারণে সড়কে যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি ছালেহ আহমেদ বলেন, “সাভারের মহাসড়কগুলোতে কোনো সমস্যা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলছে। গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদ যাত্রা করতে পারে।”
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো.
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন য নজট হ ইওয়
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টা আক্রমণে ট্রাম্পকে তুলোধুনো করলেন মাস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রকাশ্যে বিবাদে রূপ নিয়েছে। একে-অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছেন। সরকারি খরচ কমানোর জন্য বিশেষ সরকারি উপদেষ্টা পদে ছিলেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক। তার কর ও ব্যয়-সংক্রান্ত বাজেট বিল নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাম্প ও মাস্কের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল।
ইলন মাস্ক গত সপ্তাহে ট্রাম্পের বিগ বিউটিফুল কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ বলে সমালোচনা করে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ট্রাম্প বলছেন, ইলন মাস্কের কার্যকলাপে তিনি ‘হতাশ’। ওদিকে মাস্ক বলছেন, ট্রাম্প ‘অকৃতজ্ঞ’। ট্রাম্প সাংবাদিকদের কাছে মাস্কের তীব্র সমালোচনা করছেন। অন্যদিকে, স্যোশাল মিডিয়া এক্সে একের পর এক পোস্টে ট্রাম্পকে পাল্টা তুলোধুনো করছেন মাস্ক। এমন প্রকাশ্য বাদানুবাদে তাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সঙ্গে বৈঠকের সময় মাস্ককে নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। সাংবাদিকদের সামনে ট্রাম্প বলেন, ইলন মাস্কের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। সেটা আর থাকবে কি না আমি জানি না। আমি মাস্ককে নিয়ে খুবই হতাশ। আমি তাকে অনেক সাহায্য করেছি। তিনি এখানে অন্যদের চেয়ে বিগ বিউটিফুল বিলের ভেতরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ভালোভাবে জানতেন। এতে তার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। হঠাৎই তার সমস্যা দেখা দিল। মাস্ক এই বিলের যে সমালোচনা করেছেন, তাতে ট্রাম্প বিস্মিত হয়েছেন বলে জানান।
প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যের পর স্যোশাল মিডিয়া এক্সে পাল্টা জবাব দিয়ে ইলন মাস্ক লেখেন, আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যেতেন। ডেমোক্র্যাটরা হাউজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিত। আর সিনেটে রিপাবলিকানদের সূক্ষ্ম ব্যবধান (৫১-৪৯) থাকত। অথচ ট্রাম্প এই ধরনের অকৃতজ্ঞতা দেখাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ও তার দলের অন্যান্য রিপাবলিকানদের জন্য ২৭ কোটি ডলার খরচ করেছিলেন মাস্ক। সেইসূত্রে ট্রাম্পের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ট্রাম্পের।
ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের পর মাস্কের জন্য আলাদা একটি দফতর তৈরি করেছিলেন। সেই সরকারি দক্ষতা বিষয়ক দপ্তর (ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডিওজিই)-এর কাজ ছিল প্রশাসনের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কাটছাঁট করে অর্থনৈতিক সাশ্রয় করা।
গত মাসে কর ও ব্যয় সংক্রান্ত একটি বিল অনুমোদন করার পর ট্রাম্প এটিকে ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নাম দেন। সেই বিল নিয়ে পরে ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে আসে।
মাস্কের দাবি ছিল, তিনি এবং তার সহকারীরা ট্রাম্প প্রশাসনে থেকে এতদিন ব্যয় কমাতে যে কাজ করে এসেছেন সবই ব্যর্থ হবে এই বিলের কারণে।
বিলটি তাকে দেখানোর আগেই ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে সেটি পাস করানোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বলেও সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেন মাস্ক।
তবে বিলটির বিরোধিতায় মাস্কের ব্যক্তিগত কারণ থেকে থাকতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলছেন, পর্যায়ক্রমিক কর ও ব্যয় সংক্রান্ত এই বিলের সরাসরি প্রভাব পড়ত মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি কোম্পানি টেসলার উপর।