পূর্ব রাজাবাজার থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
Published: 4th, June 2025 GMT
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার পূর্ব রাজাবাজার থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক। লাশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির নাম আবদুল বাকী (৬৮)। তিনি তেজগাঁও কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
ওসি ইমাউল হক বলেন, আবদুল বাকী ১০ তলার বারান্দা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আবদুল বাকী পরিবার নিয়ে পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা ইমাউল হক। তিনি বলেন, আবদুল বাকী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের ধারণা, অসুস্থতার কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
আবদুল বাকীর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালখালীতে। তবে তিনি রাজাবাজার এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন বলে জানায় পুলিশ।‘
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল ব ক
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া গ্রাম থেকে চাঁদাবাজির মামলায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর গোলাম হায়দারকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। সোমবার রাত ২ টায় তার নিজ বাড়ি থেকে যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন সহযোগীসহ তাকে আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলাম হায়দার নিজেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন ফরহাদ হোসেনসহ আরও দুইজন।
নগরকান্দা থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, মেজর হায়দার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হুমকি-ধমকি এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সোমবার বিকালে কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. রাজু মোল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন মালামালের ভাগ ও কাবিখা-কাবিটার টাকা দাবি করতেন মেজর হায়দার। রাজু মোল্লা আরও জানান, ২৯ মে গণকবরের পাশে ডেকে নিয়ে হুমকি দেন মেজর হায়দার, পরে তার দোকানে মোটরসাইকেলে এসে লোকজন আবারও হুমকি দেয়।
গ্রেপ্তারের সময় ফরহাদ হোসেন ‘মেজরের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে’ বলে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গুজব ছড়ান, যা পরে পুলিশ মাইকিং করে মিথ্যা প্রমাণ করে।
এছাড়া, সম্প্রতি এক নারী নেত্রীর বোনকে ইভটিজিং নিয়ে উত্তেজনার সময় মেজর হায়দার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, মেজর হায়দার SS07 নামের একটি বাহিনী গঠন করে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতেন এবং এনসিপির নাম ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটাতেন। এমনকি এনসিপির ব্যানারে একাধিক জনসংযোগ কার্যক্রমেও অংশগ্রহণ করেন।
তবে এনসিপির ফরিদপুর জেলা সংগঠক মো. বায়োজিদ হোসেন জানান, “তিনি আমাদের দলের কেউ নন, শুধু প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।” একইভাবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও তাকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন এবং তাকে “বাটপার প্রকৃতির” বলে অভিহিত করেছেন।