ঈদুল আজহা সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে, এখনো ঈদযাত্রার তেমন প্রভাব পড়েনি শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার সড়কগুলোতে। উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলো যাত্রীর অভাবে দীর্ঘ সময় ধরে স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। 

বুধবার (৪ জুন) সকালে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে বাইপাইল ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী সোনালী, হানিফ, এনা ও সীমান্তসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে যাত্রীর দেখা নেই বললেই চলে।

আশুলিয়ার বাইপাইলে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা সোনালী পরিবহনের চালক সালাউদ্দিন হক বলেন, “অনেকক্ষণ হলো বসে আছি। এখনো যাত্রী পাইনি। আশা করছি, আজ বিকেলের পর থেকে চাপ বাড়বে। গত ঈদে ধাপে ধাপে কারখানাগুলো ছুটি হয়েছিল, এবার একসঙ্গে ছুটি হলে রাস্তায় পরিবহনের চাপ বাড়বে, যানজটও হতে পারে।”

আরো পড়ুন:

সাভারে ৩ মহাসড়কে চাপ বাড়ছে

ঈদে বাড়ি ফেরা: গাজীপুরের ২ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

সাভারের বিভিন্ন শিল্পকারখানা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকেই আশুলিয়া ও সাভারের অধিকাংশ গার্মেন্টসে ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। ফলে দুপুরের পর থেকে মহাসড়কে যাত্রীর চাপ বাড়বে। দুই মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ গ্রামে রওনা হবেন। তখন যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা রয়েছে।

সাভার হাইওয়ে থানার ওসি ছালেহ আহমেদ বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল। আজ সকাল থেকেও গাড়ির চাপ আছে, তবে কোনো সমস্যা নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চলছে। গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি, যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা করতে পারে।”

এদিকে, সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ