প্রসাধনী সামগ্রী আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু কমানোর দাবি জানিয়েছে এ খাতের সংগঠন বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পৃথিবীর সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক সবচেয়ে বেশি। অস্বাভাবিক শুল্কায়ন মূল্যের কারণে ভোক্তারা কম মূল্যে পণ্য কিনতে পারছেন না। গত তিন বছর ধরেই বিভিন্ন পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, আমদানি শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানোর কারণে আমদানিকারকরা ব্যবসায়িক হুমকির মুখে রয়েছেন।

এরমধ্যে প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে কিছু পণ্যের ওপর অস্বাভাবিক ট্যারিফ ভ্যালু আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে মেকআপ, লিপস্টিক, পাউডার, ফেসওয়াশসহ কয়েকটি প্রসাধনী-সামগ্রী আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ ভ্যালু দ্বিগুণ বা দ্বিগুণেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। এটি অস্বাভাবিক ও অসঙ্গতিপূর্ণ। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা পাচার হবে, আমদানি ও রাজস্ব কমবে, চোরাচালান ও নকল পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে এ খাতের আমদানিকারক ও শ্রমিকরা বেকার হবেন।

শুল্কায়ন মূল্য কমানোর দাবি জানিয়ে সংগঠনটি বলেছে, শুল্কায়ন মূল্য কমালে লাগেজ পার্টি ও চোরাচালানীর দৌরাত্ম কমে আসবে। তাতে আমদানি ও সরকারের রাজস্ব বাড়বে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ল ক কর আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত