উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমের ত্রুটি সমাধানে জরুরি হালনাগাদ আনল মাইক্রোসফট
Published: 4th, June 2025 GMT
উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করার পর কম্পিউটার চালু না হয়ে ‘রিকভারি মোড’–এ চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন ব্যবহারকারীরা। অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি যাচাই করার সময় উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমে একটি ত্রুটি খুঁজে পায় মাইক্রোসফট। এই ত্রুটির কারণে উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ করার পর কম্পিউটার চালু হয় না। আর তাই সমস্যার সমাধান করতে জরুরি হালনাগাদ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ১৩ মে প্রকাশিত নিরাপত্তা হালনাগাদ কেবি৫০৫৮৪০৫ ইনস্টল করার পর কিছু কম্পিউটারে ত্রুটিযুক্ত কোড দেখা যাচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, এসিপিআইডটসিস ফাইল–সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অপারেটিং সিস্টেম চালু করা যাচ্ছে না এবং কম্পিউটার মেরামত করতে হবে। ত্রুটিটি মূলত উইন্ডোজ ১১–এর ২২এইচ২ ও ২৩এইচ২ সংস্করণ চালানো ভার্চ্যুয়াল যন্ত্রে দেখা যাচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে অ্যাজুর ভার্চ্যুয়াল মেশিন, অ্যাজুর ভার্চ্যুয়াল ডেস্কটপ ও সিট্রিক্স বা হাইপারভিতে পরিচালিত অন প্রিমাইস ভার্চ্যুয়াল যন্ত্রগুলোর ওপর। সমস্যার সমাধানে কেবি৫০৬২১৭০ নম্বরের জরুরি হালনাগাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
মাইক্রোসফটের তথ্যমতে, কেবি৫০৬২১৭০ নম্বরের জরুরি হালনাগাদটি (আউট–অব–ব্যান্ড আপডেট) মাইক্রোসফট আপডেট ক্যাটালগ থেকে ডাউনলোড করে আলাদাভাবে ইনস্টল করতে হবে। যাঁরা এরই মধ্যে সমস্যাটির মুখে পড়েছেন, বিশেষ করে অ্যাজুর ব্যবহারকারীরা, তাঁদের অ্যাজুর ভার্চ্যুয়াল মেশিন রিপেয়ার কমান্ড ব্যবহার করতে হবে।
নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় মাইক্রোসফট জানিয়েছে, আপনার যন্ত্র যদি এরই মধ্যে মে মাসের নিরাপত্তা হালনাগাদ কেবি৫০৫৮৪০৫ ইনস্টল করে সমস্যায় পড়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে রিপেয়ার কমান্ড ব্যবহার করতে হবে। আর যদি হালনাগাদটি এখনো ইনস্টল না করা হয়ে থাকে এবং আপনার ভার্চ্যুয়াল অবকাঠামোয় উইন্ডোজ ১১–এর ২২এইচ২ বা ২৩এইচ২ সংস্করণ চালু থাকে, তাহলে সরাসরি কেবি৫০৬২১৭০ হালনাগাদটি ইনস্টল করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’