ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গাবতলী বাসটার্মিনালে বিশেষ অভিযান
Published: 4th, June 2025 GMT
ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশের মিরপুর বিভাগের বিশেষ মহানগর হাকিম, সেনাবাহিনী, ট্রাফিক বিভাগের দারুসসালাম অঞ্চল ও দারুসসালাম থানার সমন্বিত উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এই অভিযান চালানো হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ‘আহাদ পরিবহন’ ও ‘আসাদ পরিবহনকে’ ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া সংশ্লিষ্ট পরিবহনের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। অভিযানে ট্রাফিক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের সমন্বিত প্রচেষ্টা যাত্রীদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পুলিশের মিরপুর বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঈদের সময় লাখো মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তাদের এই যাত্রা সুন্দর, নিরাপদ এবং ঝামেলামুক্ত করতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অনিয়ম রোধে ডিএমপির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’