Samakal:
2025-11-03@00:24:03 GMT

যানবাহনের চাপ আছে যানজট নেই

Published: 5th, June 2025 GMT

যানবাহনের চাপ আছে যানজট নেই

ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তবে মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের অংশে কোথাও যানজট দেখা যায়নি।

গতকাল বুধবার সকালে মহাসড়কের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে মদনপুর, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও মেঘনা টোলপ্লাজায় এমন চিত্র দেখা যায়। গতকাল দিনভর মহাসড়কের এসব পয়েন্টে কোনো যানজট ছিল না। স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করেছে। স্বাভাবিক দিনগুলোর তুলনায় যানবাহনের চাপ অনেকটা বেড়েছে। একই সঙ্গে বাস কাউন্টারগুলোতে ঘরমুখী যাত্রীদের চাপও চোখ পড়েছে। 

এদিকে দূরপাল্লার কয়েকজন যাত্রীর অভিযোগ, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও ১০০-২০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। তবে, ভাড়া বেশি আদায়ের কথা অস্বীকার করেছে বাস কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা লোকজন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে ‘আল্লাহর দান’ বাস কাউন্টারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শহিদ মিয়া নামের এক যাত্রী। তিনি কুমিল্লা যাবেন। তিনি জানান, গ্রামে কোরবানি দেবেন, তাই গতকাল চলে যাচ্ছেন। রাস্তা ফাঁকা রয়েছে বলে জেনেছেন। কাউন্টার কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ১০০ টাকা বেশি আদায় করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

তবে ‘আল্লাহর দান’ বাস কাউন্টারের টিকিট বিক্রেতা আশরাফ মিয়া বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ সত্য নয়।

চাঁদপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দুই সন্তান নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন রোকেয়া আক্তার। তিনি বলেন, তারা প্রতিবছর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করেন। গার্মেন্ট কারখানাগুলোর ছুটি ঘোষণা হলে ভোগান্তির আশঙ্কা আছে। তাই রাস্তা ফাঁকা থাকায় শ্বশুরবাড়ি চলে যাচ্ছেন। তাঁর স্বামী (আজ) বৃহস্পতিবার ছুটি পেয়ে বাড়ি যাবেন।

কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডের একুশে এক্সপ্রেস বাস কাউন্টারে টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা জুয়েল রানা বলেন, তাদের এখানে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় না। নির্ধারিত ভাড়াই দিতে চান না যাত্রীরা। ৯০০ টাকার ভাড়া বলে ৭০০ টাকা। তাদের এখানে আগের ভাড়াতেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফাঁকা রয়েছে। তবে ঢাকা-সিলেট সড়কে মেরামত কাজ করায় গাড়ি একটু ধীরগতিতে যাতায়াত করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছে। মোট ৬০ জন পুলিশ সদস্য মহাসড়কে কাজ করবে। এবার ঈদযাত্রার মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্য পৌঁছাতে পারবে বলে তিনি আশাবাদী। বাস কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। এ বিষয়ে তারা খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, থানার পাশ দিয়ে মহাসড়ক থাকায় ঈদে ঘরমুখী মানুষের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত টহল বাড়ানো হয়েছে। তাদের দল সর্বক্ষণ মহাসড়কে টহল দিচ্ছে। মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব স ক উন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ