মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের চেনা হাট দীঘিরপার বাজারে এখন ভিন্ন এক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। হাটটির বয়স শত বছর পেরিয়ে গেছে। কোনো উৎসব-উপলক্ষ ছাড়াই গরু বেচাকেনার জন্য এই হাটের আলাদা পরিচিতি আছে। পবিত্র ঈদুল আজহার মতো উৎসবকে সামনে রেখে সেই পরিচিতি যেন আরও অনেকটা বেড়ে গেছে।

মঙ্গলবার অনেকটা শেষ বিকেলের দিকে দীঘিরপার বাজারে পৌঁছালে তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। সাপ্তাহিক হাটবার সেদিন। তত সময়ে বাজার মানুষে মানুষে সয়লাব হয়ে গেছে। অনেক ধরনের মানুষের ভিড়। বাজারের ভেতর দিয়ে দুই দিকে গ্রামীণ সড়ক গেছে। বাজারের মধ্যে সড়ক কিছুটা ভাঙাচোরা, গর্ত; তাতে বেশ পানি জমে আছে। সড়কগুলোয় পা ফেলার উপায় নেই। ছোট-বড় গাড়িতে তৈরি হয়েছে জট। সাধারণ মানুষ নিজেরাই এগিয়ে এসে জট খোলার চেষ্টা করছেন, গাড়িকে পথ করে দিচ্ছেন। সড়কে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলার ব্যবস্থা করছেন।

হাটের বাইরে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে পিকআপ ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। বাজারের ভেতরে গলিগুলোয় আনাজ-তরকারি, আম-কাঁঠালসহ কিছু মৌসুমি ফল, মাছ-শুটকি ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে বসেছেন অনেকে। তাঁরা সব হাটবারে এভাবেই পণ্য সাজিয়ে বসেন। মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে পশ্চিমে এই হাটের দূরত্ব খুব বেশি নয়, চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার। এই অঞ্চলের মানুষ প্রতিদিনই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, স্কুল-কলেজে আসা-যাওয়াসহ নিয়মিত শহরে আসা-যাওয়া করেন। তবু দীঘিরপার বাজার তার পুরোনো গ্রামীণ রীতিনীতি, নিয়মেই চলছে।

হাটে আসা মানুষের জন্য পান সাজিয়ে বসেছেন এক বিক্রেতা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজনি র‍্যাশ কী, হলে কী করবেন

ডিজনি র‍্যাশ বিষয়টি আমাদের অচেনা। এটি মূলত ত্বকের একধরনের সমস্যা। সাধারণত কেউ গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘসময় থাকলে এই র‍্যাশ দেখা যায়। বিদেশে ডিজনি ওয়ার্ল্ডের মতো থিম পার্কে গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকার পর অনেকের ত্বকে এ ধরনের র‍্যাশ দেখা দেয়। আর সেখান থেকেই এসেছে ডিজনি র‍্যাশ।

ডিজনি র‍্যাশ দেখতে কেমন

এ ধরনের র‍্যাশ পায়ের নিচের দিকের অংশে, যেমন গোড়ালি বা তার কাছাকাছি জায়গায় হয়। দেখতে ছোট ছোট লাল দাগ বা ফুসকুড়ির মতো। এই র‍্যাশ চুলকায়ও। অনেক সময় জ্বালাপোড়া, ফোলা ভাব বা ব্যথা থাকে। গরমে রক্তনালির প্রদাহ বা ভাস্কুলাইটিস হয়ে এ রকম হয়ে যায়।

কারা বেশি আক্রান্ত হয়

তীব্র গরমে বেশিক্ষণ থাকলে, বিশেষ করে যাঁরা গরম আবহাওয়ায় অভ্যস্ত নন, তাঁদের এটি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বয়স্কদের এই র‍্যাশ বেশি হয়। যাঁরা দীর্ঘক্ষণ হাঁটেন বা দাঁড়িয়ে থাকেন, তাঁদের এটি হতে দেখা যায়। যেমন যাঁরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন, তাঁদেরও হতে পারে। যাঁরা আঁটসাঁট প্যান্ট বা মোজা পরেন, তাঁদেরও এটি বেশি হতে দেখা যায়।

আরও পড়ুনজ্বরের সঙ্গে র‍্যাশ মানেই কি ডেঙ্গু১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

প্রথমত, গরম আবহাওয়ায় দীর্ঘ সময় থাকা যাবে না। এ রকম পরিবেশে গেলে ঠান্ডা পানিতে নিয়মিত পা ধুতে হবে বা বরফ থাকলে শরীরে ঘষে নিতে হবে। পোশাক পরতে হবে হালকা ও আরামদায়ক। ভ্রমণের মাঝখানে বিশ্রাম নেওয়া জরুরি। গরম আবহাওয়ায় পানি খেতে হবে বেশি।
র‍্যাশ হয়ে গেলে আক্রান্ত জায়গা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন। পা উঁচু করে রাখতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানির ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ রকম র‍্যাশ সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকার কথা নয়। থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। র‍্যাশ যদি ছড়িয়ে পড়ে, সেটিও ভালো লক্ষণ নয়। এ ছাড়া অনেক সময় র‍্যাশে ইনফেকশন বা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যদি জ্বর আসে, শরীর বেশ অসুস্থ হয়ে যায়, দুর্বল লাগে, তাহলে ইনফেকশন হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে দ্রুত।

আরও পড়ুনশরীরে র‍্যাশ বা দানা দেখা গেলে যা করবেন০৮ অক্টোবর ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ