ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড অংশে প্রায় ১৫ কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির চাপ রয়েছে। ফলে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। 

মূলত ভাটিয়ারি এলাকায় ঢাকামুখী লেনে একটি দুর্ঘটনার কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল মুমিন জানান, বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় ঢাকামুখী লেনে একটি ট্রাকে পেছন থেকে দুইটি গাড়ি একের পর এক ধাক্কা দেয়। প্রায় আধঘণ্টার মতো সড়ক যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো সরিয়ে নিলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে শুরু করে। 

আরো পড়ুন:

ঈদযাত্রা: বাস টার্মিনালে ভিড়, পথে পথে ঘরমুখো মানুষ

গাজীপুরের সড়কে ধীরে চলছে গাড়ি, ভোগান্তি 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হানিফ পরিবহনের একটি বাসের সুপারভাইজার মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “চট্টগ্রামের সিটি গেইট থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজট রয়েছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।” 

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী শ্যামলী পরিবহনের যাত্রী মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, “সীতাকুণ্ডে আটকে ছিলাম। দুপুর ১২টার পর থেকে বাস ধীর গতিতে থেমে থেমে চলছে।” 

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশের একাধিক টিম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশও রয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই সীতাকুণ্ড মিরসরাই অংশে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ