ঈদে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্থি দিতে সড়ক-মহাসড়কে র্যাব-১১
Published: 5th, June 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখি মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে নারায়ণগঞ্জসহ সাতটি জেলায় সড়ক মহাসড়কে টহল জোরদারসহ চেকপোস্ট স্থাপন করে যানবাহনগুলোতে তল্লাশি করছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১১।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকে জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও এশিয়ান হাইওয়ের বিভিন্ন চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে.
দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে সাইনবোর্ড এলাকায় সাংবাদিকদের তিনি জানান, মানুষের এবারের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে গত কয়েকদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং মহাসড়কগুলোতে টহলের পাশাপাশি নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে র্যাব। মহাসড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখতে এবং ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রনে র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ান বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন করে সাঁড়াশি অভিযান ও যানবাহনে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও জানান, এসব জেলায় ঈদের বড় জামাতগুলোতে মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং ছুটি শেষে ঈদ পরবর্তী সময় ফিরে আসা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও নানা কার্যক্রম চলমান থাকবে। যার ফলে রাজধানী ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৭ টি জেলার মানুষের ঈদযাত্রা এবার স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছেন র্যাব-১১ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঘরমুখো শহরের মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। এই সড়কে ঈদের সময়ে নানা ধরনের চুরি-ছিনতাই ডাকাতির মত অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে। নির্বিঘ্নে শহরের মানুষগুলো যেন গ্রামে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমাদের এই এগ্রেসিভ পেট্রল ও এক্সটেনসিভ পেট্রল পরিচালনা করা হবে মহাসড়কগুলোতে।
তিনি বলেন, এই কার্যক্রমকে আমরা তিনটি পর্বে ভাগ করেছি। সেগুলো হলো- ঈদ পূর্ববর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ঈদের দিন ঈদ জামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ঈদ পরবর্তী রাস্তায় যানজট এবং শহরে ফিরে আসার সময় মানুষের যাতায়াতের নিরাপত্তার জন্য এসব ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ঈদের পরে বাজার ম্যানেজমেন্ট ও মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক ন র য়ণগঞ জ য ব ১১
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।
সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।
তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।
সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।
প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।
কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।