চিলির বিপক্ষে শুরুর একাদশেই থাকছেন মেসি
Published: 5th, June 2025 GMT
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের অ্যাওয়ে ম্যাচে আগামীকাল শুক্রবার সকাল সাতটায় মাঠে নামবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ চিলি। এ ম্যাচের শুরু থেকেই আলবিসেলেস্তেদের একাদশে থাকবেন লিওনেল মেসি।
আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনিকে একাদশ সাজাতে একটু বেগ পেতেই হচ্ছে। কেননা নিয়মিত একাদশের একাধিক ফুটবলার চোটে দলের বাইরে। আবার কার্ড জটিলতায় খেলতে পারছেন না একাধিক তারকা। সেই তালিকায় আছেন নিকোলাস ওতামেন্ডি, লেয়ান্দ্রো পারেদেস ও এনজো ফার্নান্দেজ। চোটের কারণে নেই অ্যালেক্সিস আলিস্তার। বিশ্রামে থাকবেন লাউতারো মার্তিনেজ।
চোটের কারণে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ খেলতে না পারা মেসিকে এবার শুরু থেকেই দেখা যাবে। ৪-৪-২ ফরমেশনে আক্রমণভাগে তার সঙ্গী থাকবেন স্ট্রাইকার জুলিয়ান আলভারেজ। তবে আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনি সরাসরি নিশ্চিত করেননি মেসি শুরু থেকে থাকবেন কি না, ‘‘এমনিতে সে খেলার জন্য প্রস্তুত, তারপর আমরা মূল্যায়ন করব। সে গত শনিবার ভালো একটি ম্যাচ খেলে ফিরেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত এবং আমরা সিদ্ধান্ত নেব।” এছাড়া রদ্রিগো দি পল, এক্সেকিয়েল পালাসিওস ও জুলিয়ানো সিমিওনের মাঠে নামা একরকম নিশ্চিত।
দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চল থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩১। ১০ পয়েন্ট নিয়ে ১০ দলের মধ্যে সবার নিচে চিলি। এই অঞ্চল থেকে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি বিশ্বকাপের টিকেট পাবে।
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আর জ ন ট ন র ব শ বক প
এছাড়াও পড়ুন:
সার আমদানি ও জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব অনুমোদন
সরকারি পর্যায়ে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সার আমদানি চুক্তি অব্যাহত রাখা এবং চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা যায়, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে জি টু জি চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রো-নিউট্রিয়েন্ট কোম্পানি থেকে ইউরিয়া সারের আমদানির নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
প্রান্তিক চাষিদের মাঝে ইউরিয়া সারের সাপ্লাইচেইনে নিরবচ্ছিন্নভাবে সারের যোগান বজায় রাখতে জি-টু-জি ভিত্তিতে সৌদি আরব থেকে চুক্তির মাধ্যমে ইউরিয়া সার আমদানি করা হচ্ছে। সাবিক-সৌদি আরবের সাথে বিদ্যমান চুক্তির মেয়াদ ৩০/০৬/২০২৫ শেষ হয়। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে নিরবচ্ছিন্ন ইউরিয়া সার সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরব থেকে সর্বমোট ৬ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি স্বাক্ষরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটি থেকে প্রতি লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয় করা হবে।২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশে থেকে মোট ৩০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায়, চট্টগ্রাম জেলার ভাটিয়ারিতে অবস্থিত বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড নামে মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জলিল টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড ১৯৬১ সালে ৫৪.৯৯ একর জমির ওপর স্থাপিত হয়।১৯৭২ সালে মিলটি জাতীয়করণ করা হয় এবং পরিচালনার দায়িত্ব বিটিএমসির অধীনে ন্যস্ত হয়।পরবর্তীতে মিলটি বেসরকারি খাতে পরিচালনার দায়িত্ব অর্পন করা হলেও চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে পুনরায় পুনঃগ্রহণ করে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণে ন্যস্ত করা হয়। চট্টগ্রাম এরিয়ায় বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি (বিওএফ) সম্প্রসারণের জন্য বিটিএমসির জলিল টেক্সটাইল মিলটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের অনুরোধ করে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সেনাবাহিনী প্রধান আলোচনা ও মৌখিক সম্মতি গ্রহণ করেন।
‘গত ২৪/১২/২০১৮ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জমি বিক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব করা হলে মিলটির অব্যবহৃত জমি বিক্রয় না করে সরকারের উন্নয়নমূলক/জনহিতকর কাজে উক্ত জমি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।’ মিলের জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হলে মিলের জমি সরকারের উন্নয়নমূলক ব্যবহৃত হবে।
এমতাবস্থায়, জলিল টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড এর ৫৪.৯৯ একর জমি মিলের কাছে সরকারি পাওনা বাবদ ১৭ কোটি ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বিটিএমসিকে প্রদানপূর্বক মিলের জমি প্রতীকী মূল্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তরের নীতিগত অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। বর্ণিত ৫৪.৯৯ একর জমির মৌজা মূল্য প্রায় ১১১ কোটি ৪৪ লাখ ৩২ হাজার ৬৫৫ টাকা।
ঢাকা/হাসনাত/এসবি