ঈশ্বরদীতে প্রকাশ্যে গুলি-অস্ত্রের মহড়া, নিরাপত্তা দাবিতে মানববন্ধন
Published: 6th, June 2025 GMT
নদীপথে এসে হঠাৎ গুলি। ভারী অস্ত্র নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে মহড়া। বৃহস্পতিবার সকাল ও দুপুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাড়া ইউনিয়নের ইসলাম পাড়া ঘাটে। বালুমহাল ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রকাশ্যে এমনকাণ্ডে আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসলামপাড়া ঘাটে মানববন্ধনের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
স্থানীয়রা জানান, ঈশ্বরদীর পাশের উপজেলা নাটোরের লালপুরের ‘সন্ত্রাসী’ কাকন লালপুর ও ঈশ্বরদীর বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এ নিয়ে প্রায়ই কাকনের লোকজন নদীপথে এসে স্থানীয় ও বালু ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। বৃহস্পতিবার সকালে তারা প্রথমে এসে গুলিবষর্ণ এবং বালু ব্যবসায়ীদের অফিস ভাঙচুর করে। নদীতে মাঝিদেরও মাছ ধরতে দিচ্ছে না। নদীতে নামলেই এসে গুলি করছে। এতে নদীপাড়ের বাসিন্দারা আতঙ্ক দিন কাটাচ্ছেন। রাতে বাড়িতে থাকতেও পারছেন না।
গুলি ও মহড়ার পর বিকেলে সেনাবাহিনী, র্যাব, থানা পুলিশ ও নৌপুলিশের সমন্বয়ে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঈশ্বরদীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুন নুর বলেন, বালুমহাল নিয়ে দু’দিন গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আগের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। আজকে আবারও দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় আমরা যৌথ অভিযানে এসেছি। এ ঘটনা কেন ঘটছে, কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মহড়
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
ফতুল্লার লালপুর পৌষাপুকুর পাড় এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানের জন্য মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
আগামী দুই দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে সড়ক অবরোধ সহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে মানববন্ধন থেকে। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এতে করে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ পুরাতন সড়কের উভয় পাশে যানবাহন বন্ধ হয়ে যানজটের সৃস্টি হয়।
বুধবার সকাল ১০ টার দিকে ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুস্ঠিত হয়। ১১ টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন আজ দুপুরের পর এলাকাবাসীর সাথে নির্বাহী কর্মকর্তা কথা বলবেন তাদের সমস্যার কথা শুনবেন এবং দ্রুতই তা সমাধানের জন্য কাজ করবেন।
এ সময় লালপুর পৌষাপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মুসা বলেন জলাবদ্ধতার কারনে মুসুল্লিরা নামাজ পরতে পারছেনা,কর্মজীবিরা কাজে যেতে পারছেনা,স্কুল -কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেনা,নোংরা পানির কারনে ঘরে ঘরে পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে পরেছে।
আমাদের কে আশ্বাস করেছিলো সেনাবাহিনী কতৃক যে পাম্প বসানো হয়েছিলো সেটা চালু হলে আমাদের দ্ঃূক কস্ট লাঘব হবে। কিম্ত সে পাম্প চালু হলেও আমাদের কস্ট শেষ হয়নি। সেই পাম্প আমাদের কোন কাজে আসেনি।
আমরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারক লিপি দিয়েছি তারা এসে দেখেও গেছে কিন্ত আজো সমস্যার সমাধান করা হয়নি। বিগত সরকারের আমলে তখনকার চেয়ারম্যান, এমপি সাহেবের নিকট গিয়েছি। শামীম ওসমান এসে দেখে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। তা শুধু কথার কথাই ছিলো। কিন্ত কোন কাজে আসেনি।
ইউপি সদস্য মাঈনুদ্দিন জানায়, দীর্ঘদন যাবৎ আমরা এই সমস্যা আছি। মৃত মানুষের লাশ পযন্ত দাফন করতে পারছিনা। মসজিদের ভিতরে পানি নামাজ পরতে পারছিনা। রাস্তায় বের হতে পারছিনা।
আমাদের কোরবানী ঈদে পশু কোরবানী দিতে হয় ছাদের ওপরে নতুবা অন্য এলাকায় গিয়ে। এ সব কিছুই সরকারের সকল বিভাগের কর্মরত কর্তার জানে। কিন্ত শুধু আশ্বাস পেয়ে গেছি। কোন সমাধান পাইনি তাই আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামতে হয়েছে আমাদেরকে।
আমরা দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতার কবলে রয়েছি। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। ফতুল্লায় এতো উন্নয়ন হয়, কিন্তু লালপুর পৌষাপুকুর পাড়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছেনা। আমরা চাই এই জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধান হোক।
ব্যবসায়ী হাবিব জানায়, আমাদের সমস্যা দীর্ঘদিনের। হাসিনা সরকারের আমলে আমাদের কোন কাজ হয় নাই। আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়েছি। কিন্ত কোন কাজ হয়নি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোন প্রকার টেক্স আর দিবোনা।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, লালপুর- পৌষাপুকুরপাড় পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আঃ বারী, আজাদুর রহমান আজাদ,আলামিন বাগ পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক রফিক, লালপুর আলামিন বাগ পঞ্চায়েতের সভাপতি মো. জনি, শামীম।