দীপিকা কেন একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়ছেন
Published: 6th, June 2025 GMT
‘অ্যানিমেল’ ও ‘কবির সিং’-এর নির্মাতা সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা আবার ফিরেছিলেন তেলেগু সিনেমায়। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন দক্ষিণি সুপারস্টার প্রভাস। ছবির নাম ‘স্পিরিট’। প্রথমে জানানো হয়েছিল, ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে থাকছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। তবে কর্মঘণ্টা, পারিশ্রমিক, ছবির লভ্যাংশ ভাগসহ নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন তিনি, যা নিয়ে এখনো বলিউডে চলছে তুমুল বিতর্ক। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, ‘কল্কি’ সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো মা হয়েছেন দীপিকা। মেয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কাজের দুনিয়াতেও ফিরতে চলেছেন। এখানেই সমস্যা।
পেশাজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য রাখতে চেয়ে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে নারাজ ‘পিকু’ অভিনেত্রী। গুঞ্জন, এ নিয়েই নাকি পরিচালকদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। যে কারণে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। একই কারণে এবার নাকি দীপিকার ওপরে বিরূপ আরও এক প্রথম সারির পরিচালক নাগ অশ্বিনও!
দীপিকাকে নিয়ে এত দিন কোনো পরিচালকের কোনো বক্তব্য ছিল না; বরং নায়িকার পরিশ্রম করার মানসিকতার প্রশংসাই করতেন নির্মাতারা। কিন্তু কর্মঘণ্টা নির্ধারণ নিয়ে এবার পরিচালকদের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে তাঁর। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও শোনা যাচ্ছে, নাগ অশ্বিনের ‘কল্কি ২’ ছবি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। ছবির প্রথম কিস্তিতে প্রভাস, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসানের সঙ্গে দীপিকাও ছিলেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি সিকুয়েলে থাকছেন না। যদিও এ বিষয়ে অভিনেত্রীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’