‘অ্যানিমেল’ ও ‘কবির সিং’-এর নির্মাতা সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা আবার ফিরেছিলেন তেলেগু সিনেমায়। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন দক্ষিণি সুপারস্টার প্রভাস। ছবির নাম ‘স্পিরিট’। প্রথমে জানানো হয়েছিল, ছবির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে থাকছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন। তবে কর্মঘণ্টা, পারিশ্রমিক, ছবির লভ্যাংশ ভাগসহ নানা বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সিনেমাটি থেকে বাদ পড়েন তিনি, যা নিয়ে এখনো বলিউডে চলছে তুমুল বিতর্ক। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ জানিয়েছে, ‘কল্কি’ সিনেমার সিকুয়েল থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো মা হয়েছেন দীপিকা। মেয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কাজের দুনিয়াতেও ফিরতে চলেছেন। এখানেই সমস্যা।

পেশাজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্য রাখতে চেয়ে আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে নারাজ ‘পিকু’ অভিনেত্রী। গুঞ্জন, এ নিয়েই নাকি পরিচালকদের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না তাঁর। যে কারণে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ছবি ‘স্পিরিট’ থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। একই কারণে এবার নাকি দীপিকার ওপরে বিরূপ আরও এক প্রথম সারির পরিচালক নাগ অশ্বিনও!

দীপিকাকে নিয়ে এত দিন কোনো পরিচালকের কোনো বক্তব্য ছিল না; বরং নায়িকার পরিশ্রম করার মানসিকতার প্রশংসাই করতেন নির্মাতারা। কিন্তু কর্মঘণ্টা নির্ধারণ নিয়ে এবার পরিচালকদের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে তাঁর। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হলেও শোনা যাচ্ছে, নাগ অশ্বিনের ‘কল্কি ২’ ছবি থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। ছবির প্রথম কিস্তিতে প্রভাস, অমিতাভ বচ্চন, কমল হাসানের সঙ্গে দীপিকাও ছিলেন। কিন্তু সম্ভবত তিনি সিকুয়েলে থাকছেন না। যদিও এ বিষয়ে অভিনেত্রীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

দীপিকা পাড়ুকোন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুর শহরে সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরে ঢোকে পানি, দুই শতাধিক পরিবারের ভোগান্তি

জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রার পলাশতলা এলাকায় দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বুধবারবেলা দুইটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, জলাবদ্ধতায় দুই শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে আছেন।

‘পলাশতলার সর্বস্তরের জনগণ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। জামালপুর শহরের হাটচন্দ্রা রেলক্রসিংয়ের সামনে পলাশতলা এলাকাটির অবস্থান। জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ মহাসড়ক থেকে একটি সংযোগ সড়ক এলাকাটির দিকে ঢুকেছে। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুমে তাঁদের বানভাসির মতো বসবাস করতে হয়। এলাকার সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনপ্রতিনিধি ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চান তাঁরা।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, এলাকাটিতে সামান্য বৃষ্টি হলে আঙিনা উপচে কয়েকটি ঘরে পানি ঢোকে। পানি মাড়িয়ে যাবতীয় কাজ সারতে হয়। যেকোনো কাজে বাইরে গেলে নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ফলে তাঁরা পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রায় চার বছর ধরে এমন অসহনীয় জলাবদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে তাঁদের বসবাস করতে হচ্ছে।

শহিদুল্লাহ নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, গত চার বছর ধরে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার বানভাসির মতো বসবাস করছেন। জলাবদ্ধতার সমস্যা নিয়ে বহুবার পৌরসভাসহ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। দীর্ঘ সময় ধরে পানি থাকায়, অনেকের হাত-পায়ে পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

দ্রুত সময়ের মধ্যে পলাশতলার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার প্রশাসক এ কে এম আবদুল্লাহ-বিন-রশিদ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় আমি নিজে গিয়ে দেখে আসছি। যেসব স্থানে পানি আটকে আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকার পানি সরাতে ইতিমধ্যে পৌরসভার অন্য কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ