ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১০ দিনের লম্বা ছুটি পেয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। ছুটি উপভোগ করতে এ সময় অনেকেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। পর্যটকদের সেই পরিকল্পনা সার্থক এবং আনন্দময় করতে সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শেষ করেছেন রাঙামাটির পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাদের ধারনা, টানা ছুটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়বে। 

পাহাড় ও হ্রদঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি বরাবরই পছন্দের তালিকায় থাকে পর্যটকদের। ভ্রমণপিপাসুরা যান্ত্রিক শহরের ক্লান্তি দূর করতে এখানে ছুটে আসেন। জেলার সাজেক ভ্যালি, ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই হ্রদ, পলওয়েল পার্ক, আরণ্যক ও সুবলং ঝরনাসহ মনোমুগ্ধকর সব পর্যটন স্পটগুলো মুখরিত হয়ে উঠবে পর্যটদের উপস্থিতিতে। 

টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঝরনাগুলো তাদের যৌবন ফিরে পেয়েছে। বর্তমানে যেসব পর্যটক রাঙামাটিতে অবস্থান করছেন তাদের অনেকেই ঝরনা দেখতে যাচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

তিন শর্তে খুলল রুমা ও থানচির পর্যটন

এভারেস্ট দিবস
এ দেশে যে প্রশ্ন শুনতে হয় ‘এভারেস্টে উঠলে কী হয়?’ 

রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে ঝুলন্ত সেতু। ইতোমধ্যে ঝুলন্ত সেতু এবং এর আশপাশ রঙ করেছে কর্তৃপক্ষ। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যারা কাপ্তাই হ্রদে যাবেন তাদের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট বোট ব্যবসায়ীরা।

রাঙামাটি পর্যটন নৌযান ঘাটের ব্যবস্থাপক মো.

ফখরুল ইসলাম বলেন, “পর্যটক বরণে আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ। বোটগুলো সংস্কার, রঙ করাসহ সব কাজ শেষ। আমরা এখন পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছি।”

জেলার আরেক অন্যতম বিনোদন স্পট পলওয়েল পার্কও প্রস্তত পর্যটক বরণে। পুরো পার্ক নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে পার্কের একমাত্র ঝুলন্ত সেতুটিও। 

পার্কটির দায়িত্বে থাকা মিজানুর রহমান বলেন, “আমাদের ১১টি কটেজ আছে। যেখানে ৩৬ জন থাকতে পারেন। ৮ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত আমাদের কটেজগুলো শতভাগ বুকিং রয়েছে।”

হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ বলেন, “টানা ছুটির কারণে এবার রাঙামাটিতে ভালো পর্যটকের সমাগম হবে। এখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভালো। সবমিলে এবারের ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আসবেন বলে আশা করছি।” 

তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে হোটেলগুলোর ৮০ ভাগ পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।”

পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “আমাদের হোটেল-মোটেল মিলে ৮৭টি রুমে ১৭০ জন থাকতে পারেন। ৯ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ৮০ ভাগ রুম অগ্রিম বুকিং আছে।”

ঢাকা/শংকর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ রমণ পর যটক প রস ত ত আম দ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যটকদের সেতুটিতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি পর্যটক কমপ্লেক্স।

পর্যটক কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে গত সোমবার সেতুর কিছু অংশে পাটাতনের ওপর পানি ওঠে। তবে আজ বুধবার সকাল ছয়টার দিকে পানি বেড়ে সেতুটি তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সকাল ১০টার দিকে সেতুতে উঠতে পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেতুর পাটাতনের ওপর এখন চার ইঞ্চির মতো পানি রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সেতুতে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও নিকটবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারবেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাপ্তাই হ্রদে পানি বেড়ে ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু