কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পবিত্র ঈদুল আজহার তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে একটি জামাতে অংশ নেন বন্দিরা। 

শনিবার (৭ জুন) সকাল সোয়া ৮টার দিকে বন্দিদের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে কারাগারে থাকা হাজারো বন্দি অংশ নেন। এর আগে, সকাল ৭টায় কারাগারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা প্রথম ঈদ জামাতে অংশ নেন। 

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কেরাণীগঞ্জ কারাগারে বন্দিদের জন্য ঈদের বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে কারাগারের কয়েদিদের জন্য ৮টি গরু ও ১০টি খাসি জবাই করা হবে।

আরো পড়ুন:

শোলাকিয়ায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ঈদের নামাজ আদায়

রাজধানীর অলিগলির রাস্তায় পশু কোরবানি

সকালের নাশতায় বন্দিদের জন্য থাকবে পায়েস ও মুড়ি। দুপুরে থাকবে মুরগির রোস্ট, গরু- খাসির মাংস, সালাদ, কোমল পানীয়, মিষ্টান্ন ও পান-সুপারি। 

আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে আরপি গেটে উপহার ও সুভেনিয়রও বিতরণ করা হচ্ছে। ধর্মীয় অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে বন্দিদের ঈদ উদযাপন নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

ঢাকা/শিপন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন দ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

জকোভিচের শেষের শুরু

উনচল্লিশ চলছে তাঁর। একজন স্পোর্টসম্যানের জন্য বয়সটা নেহাত কম নয়। সেটা বুঝতে পেরেই হয়তো প্যারিস ওপেন থেকে বিদায় নেওয়ার সময় আবেগি হয়ে পড়েন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচ। শুক্রবার সেমিফাইনালে তিনি হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। তিনবারের ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ী এই কিংবদন্তী। রোঁলা গারোর দর্শকদের কাছে হাত উঁচিয়ে বিদায় নিয়ে যান। 

‘এটাই হতে পারে এখানে খেলা আমার শেষ ম্যাচ। জানি না, তবে (শেষ ভেবে) আবেগি হয়ে পড়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আবারও এখানে খেলতে চাই। কিন্তু সেটা আরও বারো মাস পরে, যা কিনা আমার জন্য অনেক বেশি সময়। ইউএস ওপেন  আর উইম্বল্ডন খেলব। তারপর পাকাপাকি অবসরের নিব কিনা জানি না।’ 

২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা এই তারকা সম্প্রতি সময়ে লড়ছেন যেন তার বয়সের সঙ্গেই। দু’বছর আগে সর্বশেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ইউএস ওপেনে। এর পর গত বছর উইম্বল্ডনের ফাইনালে উঠলেও হেরে যান কার্লোস আলকারেজের কাছে। এবারে প্যারিস থেকে বিদায় নিলেও সেখানকার লাল মাটির কোর্টে কিছু রেকর্ডে নিজের নাম লিখে যান জকো। 

লাল দুর্গের এই কোর্টে রাজা ছিলেন যিনি, সেই রাফায়েল নাদালের সর্বাধিক ১১২টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে এখানে। সেই লাল দুর্গেই কিনা দ্বিতীয় সর্বাধিক হিসেবে ১০১টি ম্যাচ জিতে নেন জকোভিচ। ক্যারিয়ারে একক কোনো মেজর আসরেও এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দশ বার অংশগ্রহণ করে তিনবার শিরোপা জিতে নেন এই ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে। তবে এখান থেকেই বোধহয় শেষের শুরু হলো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ