এক নম্বর সাবালেঙ্কাকে কাঁদিয়ে ফ্রেঞ্চ ওপেনের নতুন রানি কোকো গফ
Published: 7th, June 2025 GMT
ফাইনালে বিশ্বের এক ও দুই খেলোয়াড়। রোলাঁ গারোতে আজ বিশ্বের সেরা দুই নারী খেলোয়াড় কোর্টে নেমেছিলেন প্রথমবার ফ্রেঞ্চ ওপেনের ট্রফি জিততে। তিন সেট ও ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিটের লড়াইয়ে শেষে ট্রফিটা জিতলেন দুই নম্বর খেলোয়াড় কোকো গফ। বিশ্বের এক নম্বর নারী খেলোয়াড় আরিনা সাবালেঙ্কাকে গফ হারিয়েছেন ৬-৭ (৫/৭), ৬-২, ৬-৪ গেমে।
২১ বছর বয়সী মার্কিন তারকার এটি দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম জয়। গফ প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন ২০২৩ সালে ইউএস ওপেনে। সেই ফাইনালেও গফের প্রতিপক্ষ ছিলেন বেলারুশ তারকা সাবালেঙ্কা। সেই ম্যাচটাও প্রথম সেট হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন গফ।
গফের আগে সর্বশেষ মার্কিন খেলোয়াড় হিসেবে ফ্রেঞ্চ ওপেনের নারী এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। ২০১৫ সালের সেই ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রের লুসি সাফারোভাকে হারিয়ে তৃতীয়বার রোলাঁ গারো জয় করেছিলেন সেরেনা।
রানারআপ হয়ে কাঁদছেন আরিনা সাবালেঙ্কা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।
দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।
মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ