কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের নিয়ে ঈদ আনন্দ, গান গাইলেন নোবেল
Published: 7th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে কারাবন্দি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। তিনি মঞ্চে উঠে গেয়েছেন নগর বাউল জেমসের গান; মাতিয়েছেন বন্দিদের।
ঈদের দিন আজ শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কারা কর্তৃপক্ষের আয়োজনে বন্দিশালার মাঠে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান।
ঈদের দিনে জেলের বন্দিদের জন্য গান গেয়ে হয়তো ‘আশা’ দেখিয়েছেন নোবেল। বন্দি মানুষগুলোর জন্যও হয়তো ঈদ হতে পারে আনন্দের। তবে, গায়ক নোবেল নিজেকে পরিশুদ্ধ করে ফিরে আসবে গানের জগতে, এমনটাই হয়তো চাইবেন তার ভক্তরা।
মঞ্চে নোবেল ‘অভিনয়’, ‘ভিগি ভিগি’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হয়ে গেলে’সহ তার জনপ্রিয় কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। নোবেলের কণ্ঠে গাওয়া এসব গান শুনে অন্য বন্দিরাও আবেগ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। গানে গানে তৈরি হয় এক ভিন্নরকম উৎসবমুখর পরিবেশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এবার গরমে কোনো হাজির মৃত্যু হয়নি: সৌদি আরব
চলতি বছরও ব্যাপক গরমের মধ্যে হজ করেছেন সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা। তবে গতবারের তুলনায় এবার হজে গরমের কারণে মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি। এছাড়া গরমজনিত অসুস্থতাও ছিল গত বছরের চেয়ে ৯০ শাতংশ কম।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে এ অর্জনের কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা দপ্তর, ডাক্তার, নার্স এবং সম্পর্কিত অন্যান্য সরকারি সংস্থাকে।
আরও বলা হয়েছে, ছায়াযুক্ত এলাকার আয়তন বাড়ানো, হজযাত্রীদের গরমজনিত কষ্ট লাঘবে কুলিং সিস্টেমসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে অবকাঠামোগত সুবিধা এবং সর্বোপরি সচেতনতার কারণে এবার গ্রীষ্মকালীন তীব্র গরম সত্ত্বেও হাজিদের মধ্যে অস্বস্তির পরিমাণ ছিল কম।
মরু আবহাওয়ার দেশ সৌদি আরবে জুনমাসে ভরপুর গ্রীষ্মকাল থাকে। এ সময় দিনের বেলা প্রায়েই তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছাড়িয়ে যায়। গত বছর হজ হয়েছিল জুনের মাঝামাঝি। অসহনীয় গরমে সেবার প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ হাজার ৩ শতাধিক মুসল্লি, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আরও কয়েক হাজার।
চলতি ২০২৫ সালে হজ শুরু হয়েছে ৪ জুন, শেষ হয়েছে ৬ তারিখ। সৌদির পরিসংখ্যান দপ্তর গাস্তাতের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর হজ করেছেন মোট ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ২৩০ জন মুসল্লি। তাদের মধ্যে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬৫০ জন ছিলেন সৌদির, বাকিরা সবাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছিলেন।