শাহরুখের ঘড়ির মূল্য কারো এক জীবনের স্বপ্ন
Published: 8th, June 2025 GMT
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। চলতি বছরে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনয়শিল্পীদের তালিকায় উঠে এসেছে এই তারকার নাম। ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিস্টিকস এই তালিকা প্রকাশ করেছে।
ব্যক্তিগত জীবনযাপনও রাজা-বাদশাহ’র মতোই। বিলাসবহুল গাড়ি থেকে ব্যক্তিগত বিমান, সবই রয়েছে বলিউড বাদশাহর। দামি জুতা, জামা ব্যবহার করার অভ্যাস রয়েছে তার। এছাড়া দামি ঘড়ি কেনার শখ রয়েছে শাহরুখের। এই শখ পূরণের জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ করতেও পিছপা হন না।
গত ৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টে অনুষ্ঠিত হয় মেট গালা। মেট গালার ব্লু কার্পেটে অভিষেকের মাধ্যমে বহুল কাঙ্ক্ষিত লুকে দেখা দেন শাহরুখ খান। ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির তৈরি পোশাক পরে চমকে দেন শাহরুখ। পাশাপাশি তার বাঁ হাতের ঘড়িটি নেটিজেনদের নজর কাড়ে। জানেন কী এ ঘড়ির মূল্য কত?
আরো পড়ুন:
‘শাহরুখকে নিয়ে সিনেমা নির্মাণের চেয়ে তাকে জানতে পারাটা সৌভাগ্যের’
ফের শাহরুখের সিনেমায় রানী মুখার্জি!
সিয়াসাত ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শাহরুখ খানের হাতঘড়িটি প্রস্তুত করেছে সুইজারল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাটেক ফিলিপ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়িগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি। ঘড়িটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট সাদা সোনা, ১১৮টি পান্না এবং ২৯১টি হীরা। ক্যালেন্ডার, তারিখ প্রদর্শন ছাড়াও ঘড়িটির মধ্যে বেশ কিছু ফিচার রয়েছে। ঘড়িটির মূল্য ২১ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকার বেশি)।
প্রথমবার মেট গালায় দেখা দেন শাহরুখ খান। তার পরনের পোশাক ও অন্যান্য ব্যবহার্য জিনিসগুলো দর্শকদের নজর কাড়ে। শাহরুখ খানের পোশাকের বিষয়ে ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জি জানান, শাহরুখ খান পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত কালো রঙের লম্বা কোট পরেছিলেন। এটি তাসমানিয়ার চমৎকার ওল দিয়ে তৈরি। তাতে মনোগ্রাম করা এবং জাপানিজ বাটন ব্যবহার করা হয়েছে। পোশাকটি হাতে তৈরি করা হয়েছে।
পোশাকটির বুকের অংশে ভি-কাট, পিক কলার এবং প্রশস্ত ল্যাপেল রয়েছে। ক্রেপ ডি চীন সিল্ক শার্ট এবং চমৎকার ওলের তৈরি ট্রাউজার দর্জি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়। একটি প্লিটেড সাটিন কোমরবান্ধা শাহরুখের বিশেষ লুকটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। তাছাড়া এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেটের সোনা ও হীরা।
শাহরুখ খানের পরবর্তী সিনেমা ‘কিং’। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার কারণে সিনেমাটির কাজ পিছিয়ে নেন শাহরুখ। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ‘কিং’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন দীপিকা পাড়ুকোন।
সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আরো অভিনয় করবেন— অভিষেক বচ্চন, জয়দীপ আহলাওয়াত। আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। এটি পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ।
ঢাকা/শান্ত/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’