এক সময় ছিল, ঈদের সিনেমার মানেই ছিল হলজুড়ে হুল্লোড়, পত্রিকায় হিট হেডলাইন, আর দর্শকের মনে প্রিয় নাম নাঈম-শাবনাজ। নব্বইয়ের দশকে এই জুটি এসেই যেন বদলে দিয়েছিলেন বাংলা সিনেমার ব্যাকড্রপ। প্রেম, গান, একশন—সব কিছুতেই তারা ছিলেন দর্শকের চোখের মণি। আর ঈদ পূর্ণতা পেত তাদের সিনেমা দিয়েই। আজ হয়তো তারা অভিনয় থেকে অনেক দূরে, তবে স্মৃতির মঞ্চে এখনও তারা সুপারহিট!

ঈদের সিনেমা মুক্তি মানেই কেবল রিলিজ না, ছিল একেবারে উৎসবের প্রস্তুতি! শাবনাজ নিজেই স্মৃতিচারণ করলেন। তিনি রাইজিংবিডিকে বলেন, “ঈদের আগের রাতেই আমাদের টেনশন শুরু হতো! আমরা, নাঈম, সাদেক বাচ্চু ভাই, পরিচালকসহ পুরো দল লেট নাইটে গাড়ি নিয়ে বের হতাম। এক হলে ঢুকি, ব্যানার দেখি; অন্য হলে গিয়ে দেখি আমাদের পোস্টার কেমন লাগছে! সত্যি বলতে, ঈদের আগের রাতের সেই উত্তেজনা কাজ করতো।”

ঈদের দিন সকাল হতেই নতুন এক টেনশনের শুরু—প্রথম শো কেমন যাবে? দর্শক কেমন নেবে? আর দুপুর গড়াতে না গড়াতেই হাসিমুখ, হাতভর্তি ফুল, আর ভক্তদের ভালোবাসায় ভরে যেত দিনটা। 

আরো পড়ুন:

লজ্জার অভিজ্ঞতা জানালেন জেমি লিভার

শাকিবের ‘তাণ্ডব’-এ বাজিমাৎ করলেন নিশো-সিয়াম!

“শোয়ের পর দর্শক আসতো আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। তখন সেলফি না, অটোগ্রাফ ছিল বড় ব্যাপার! ফুল নিয়ে আসতো, খুশিতে অটোগ্রাফ নিতো। এখন সেসব কিছু সস্তা হয়ে গেছে। এখন তো সবাই শুধু ফোন বের করে ভিডিও করে আর সেলফি তোলে!”—হাসতে হাসতে বলেন শাবনাজ।

শুধু বড়পর্দা নয়, তাদের জনপ্রিয়তা পৌঁছে গিয়েছিল চকলেটের মোড়ক আর আইসক্রিম প্যাকেটেও! শাবনাজ বলেন, “আমার শাশুড়ির কাছেও নাঈম-আমার ছবিওয়ালা ভিউকার্ড জমা করা ছিল। তখন এসব পেয়ে খুব আনন্দ হতো। এখন এসব যেন শুধুই গল্প হয়ে গেছে.

..”

প্রশ্ন ছিল, বিয়ের পর প্রথম ঈদ কোথায়? উত্তরে এল এক ঝলমলে গ্রামীণ গল্প— শাবনাজ বলেন, “টাঙ্গাইলে ঈদ করেছিলাম। গ্রামের সবাই আমাকে দেখতে এসেছিল! আমি নিজে রান্না করেছিলাম সেদিন। যদিও রান্নার অভিজ্ঞতা খুব একটা ছিল না, তাও চেষ্টা করেছিলাম। আর একটা কথা না বললেই নয়—আমি রান্না শিখেছি নাঈমের কাছ থেকেই। ওর হাতে গরুর পায়া... আহ! আমার না, পুরো পরিবারেরই স্পেশাল পছন্দ!”

আজ হয়তো তাদের পোস্টার দেখি না সিনেমা হলে, অটোগ্রাফ নেয়ার ভিড়ও দেখি না... কিন্তু নাঈম-শাবনাজ নামটা এখনও ঈদের ভাঁজে এক রকমের অনুভব হয়ে জেগে থাকে—মিষ্টি স্মৃতি, সিনেমার প্রেম আর হারিয়ে যাওয়া ঈদের ঘ্রাণ হয়ে।

ঢাকা/রাহাত/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ শ বন জ

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া থাকা দুঃখজনক: গণসংহতি আন্দোলন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া থাকা দুঃখজনক, অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বিবৃতেতে জোনায়েদ সাকি বলেন, ঈদের মাত্র একদিন আগে এসেও দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে বেতন ও বোনাসের দাবিতে। এটা শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, চূড়ান্ত অমানবিক। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে স্পষ্ট যে, অনেক কারখানায় এখনও শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়নি। গত রোজার ঈদেও টিএনজেডসহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করে যেসব ন্যায্য পাওনার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলেন, সেগুলোও এখনও সম্পূর্ণ পরিশোধ হয়নি; যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি, সরকার অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আবুল হাসান রুবেল বলেন, ঈদের আগে শ্রমিকদের পাওনা নিশ্চিত করা কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি তাদের ন্যায্য অধিকার। এই অধিকার থেকে শ্রমিকদের বঞ্চিত করায় শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের শাস্তি হওয়া দরকার। চলতি সপ্তাহেই বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর টিয়ারশেল ও জলকামান চালিয়েছে পুলিশ। শ্রমিকদের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের এই আচরণ চরম অন্যায়। মালিকপক্ষ ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যেমন ঈদ আছে, শ্রমিকদেরও ঈদ আছে। আপনারা ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগেই শ্রমিকদের বেতন বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিউলিপের কোনো চিঠি সরকার এখনও পায়নি: প্রেস সচিব
  • এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরন হয়নি সাভারের ট্যানারিতে
  • রোনালদো নাকি ইয়ামাল, শিরোপা তুমি কার?
  • ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস বকেয়া থাকা দুঃখজনক: গণসংহতি আন্দোলন