ফাঁকা ঢাকায় ঈদ আনন্দে মেতেছে রাজধানীবাসী
Published: 8th, June 2025 GMT
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন ফাঁকা রাজধানীতে ঘুরতে বের হয়েছেন নগরবাসী। বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। জাতীয় চিড়িয়াখানা, সংসদ ভবন এলাকার জিয়া উদ্যান, রমনা পার্ক ও হাতির ঝিল এলাকা ছিল মানুষের পদচারণে মুখর।
আজ রোববার রাজধানীর এসব এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বিনোদনকেন্দ্র, উদ্যান ও পার্কে কেবল রাজধানী ঢাকার লোকজনই নয়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থীরাও মেতেছিলেন ঈদ আনন্দে।
সংসদ ভবনের সামনে পরিবারের সদস্যদের ছবি তুলছিলেন রাজধানীর পল্টন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল আলম। স্ত্রী, বড় ছেলে ও তাঁর স্ত্রী, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সাত সদস্য সংসদ ভবন এলাকায় ঘুরতে এসেছেন।
মঞ্জুরুল আলম প্রথম আলোকে জানান, কিছুদিন আগেও তিনি সংসদ ভবন এলাকায় এসেছিলেন। তবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে আজ আবার অনেক বছর পর এসেছেন। এই এলাকার মুক্ত পরিবেশ, মুক্ত বাতাস তাঁর ভালো লাগে।
রাজধানীর মিরপুর থেকে একসঙ্গে ১০ বান্ধবী ঘুরতে আসেন জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়। তাঁদের একজন সাদিয়া আফরিন সাইফা। সাইফা রাজধানীর মিরপুর কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ‘প্রায় সময় ঘুরতে বের হই। ঈদ উপলক্ষে আজ সব বান্ধবীকে নিয়ে বের হলাম। এই এলাকা এমনিতে ভালো লাগার। সবাইকে নিয়ে ঘুরছি, মজা করছি।’
রমনা পার্ক এলাকায় পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন অনেকেই.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ব র এল ক য় ন এল ক
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী গ্রেপ্তার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) সহকারী প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশ নগরীর কোটবাড়ি রোডের চাঙ্গেনী মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি ওই এলাকার সুলতান আহম্মদের ছেলে এবং কুসিকের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই। সোমবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গত বছরের ৫ আগস্টের পর সদর দক্ষিণ ও কোতয়ালি মডেল থানায় দুটি মামলা হয়। এসব মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামি। দুটি মামলায় আসামি হলেও তিনি কর্মস্থলে নিয়মিত অফিস করতেন। এছাড়া নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সমকালকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওসির ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি (তোফাজ্জল) ২০২০ সালের ১০ জুলাই চাঙ্গেনী এলাকার ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। তবে ওই মামলায় জামিনে আছেন।