ফরিদপুরে লুডু খেলার সময় মোবাইল চুরির সন্দেহে ইজ্জল বেপারী (৪৫) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ তুলে দেওয়া হয়। 

শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়া গ্রামে কুমার নদের পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইজ্জল বেপারী কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি এলাকার মন্টু মন্ডলের ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেলে লুডুর জুয়া খেলা চলছিল। ইজ্জলের সঙ্গে যারা জুয়া খেলতেন তাদের একজনের মোবাইল চুরির জন্য ইজ্জলকে দায়ী করা হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে ইজ্জলের জুয়া খেলার সহযোগীরা শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে ধরে কানাইপুরে ব্যাপারীপাড়া এলাকায় কুমার নদের পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে মারপিট করে কুমার নদের পানিতে চোবানো হয়। 

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইজ্জলের শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ জানায়, তার বাবাকে নদীর পাড়ে নিয়ে মারপিট করে নদীর পানিতে চোবানো হয়। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে পানি খেতে বাধ্য করা হয়। একপর্যায়ে তার বাবার অবস্থা খারাপ হলে হামলাকারীরা তাকে রেখে পালিয়ে যায়।

ইজ্জলের স্ত্রী নবিরণ বেগম (৩৫) বলেন, ‘মোবাইল চুরি করেছে সন্দেহে এলাকার কয়েকজন লোক আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে ও চুবিয়ে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।’ 

ফরিদপুর কোতয়ালি থানার ওসি মো.

আসাদউজ্জামান বলেন, শনিবার রাত ১০টার দিকে ওই ব্যক্তিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। হাসপাতালে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষপান উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ র প এ ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ