এক ছাত্রীনিবাসের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে, ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢোকে
Published: 9th, June 2025 GMT
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের একটি ছাত্রীনিবাসকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবু সেখানে বিদেশি ১৭ জনসহ প্রায় ১৫০ ছাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকছেন। মেডিকেল কলেজের তিনটি ছাত্রীনিবাসের মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো পলিন ছাত্রীনিবাস। ভবনটির তৃতীয় তলার ছাদ থেকে মাঝেমধ্যেই পলেস্তারা খসে পড়ে বিছানার ওপর। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে, ফাটল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে ভিজে যাচ্ছে আসবাব।
সম্প্রতি এক দুপুরে পলিন ছাত্রীনিবাস ঘুরে দেখা যায়, কয়েকজন ছাত্রী ভেজা তোশক ও কাপড়চোপড় ছাদে শুকাতে দিয়েছেন। বেশির ভাগ ছাত্রী ছুটিতে চলে যাওয়ায় হল ফাঁকা। তত্ত্বাবধায়ক ঈশিতা খানম সঙ্গে ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৯ নম্বর কক্ষের পুরো ছাদ থেকেই বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ে।’ কক্ষটি বন্ধ থাকায় দেখাতে পারেননি। তবে পাশের ২২ ও ২৭ নম্বর কক্ষে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে আছে। কোথাও নতুন প্লাস্টার ফেটে ঝুলে আছে।
এক ছাত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে একটা বড় টুকরা খসে বিছানায় পড়ে। আমরা বাইরে থাকায় রক্ষা পাই।’ নামাজঘরের একাংশও পানি পড়ে ভিজে থাকে। হলের মাঝখানে ফাটা অংশ দেখিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ঈশিতা খানম বলেন, ‘সেখান দিয়েও পানি পড়ে, সব ভিজে যায়।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রীনিবাসের ব্যবহারের অনুপযোগী একটি কক্ষ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।