রোনালদো-ইয়ামালদের ফাইনালে প্রেসবক্সে পড়ে এক দর্শকের মৃত্যু
Published: 9th, June 2025 GMT
পর্তুগাল–স্পেন উয়েফা নেশনস লিগ ফাইনালের সময় স্টেডিয়ামে এক দর্শক মারা গেছেন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার গ্যালারির ওপরের অংশে থাকা ওই দর্শক নিচে প্রেসবক্সের সামনে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ম্যাচের পর তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
জার্মানির সংবাদমাধ্যম বিল্ড জানিয়েছে, ওই দর্শক ছিলেন জার্মান। তাঁর দেশ জার্মানি নেশনস লিগের ফাইনালে না থাকলেও তিনি খেলা দেখতে এসেছিলেন। তাঁর বাড়ি গারমিশ-পার্টেনকিরচেন জেলায়। তবে তাঁর নাম, বয়স ও পেশা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো–লামিনে ইয়ামালদের ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আচমকাই এক ব্যক্তি স্টেডিয়ামের ওপরের অংশ থেকে নিচে পড়ে যান। বিল্ডের খবরে বলা হয়, ওপর থেকে ৮ মিটার নিচে ১০৩ নম্বর ব্লকে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। ওই জায়গাতেই সাংবাদিকদের বসার জায়গা। টিভি সম্প্রচারে ধারাভাষ্যও চলছিল সেখান থেকে।
দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই বসে কাজ করছিলেন সাংবাদিকেরা।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
আবার উত্তাল মণিপুর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চাপে প্রশাসন
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের চার মাস পর আবার উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজধানী ইম্ফল ও আশপাশের এলাকা। বিশেষ করে আদিবাসী অধ্যুষিত পাহাড়ি অঞ্চলে গতকাল রোববার রাত থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
রাজ্য পুলিশ আজ সোমবার জানিয়েছে, গত রাত থেকে চলা সহিংসতায় সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। যার মধ্যে ইম্ফল পশ্চিম জেলার সাব-ডিভিশনাল কালেক্টর বা উপ-মহকুমা শাসকের অফিসও রয়েছে। ফলে উপ-মহকুমা শাসকের ওই অফিসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে গেছে। ভবনটিও আংশিকভাবে পুড়ে গেছে।
রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই সম্প্রদায়ের সশস্ত্র সংগঠন আরাম্বাই টেঙ্গলের এক শীর্ষ নেতা অসেম কানন সিংসহ আরও চারজনকে অতীতের সহিংসতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ভারতের একটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, কয়েকজনকে ইম্ফল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা নির্দিষ্টভাবে এখনো জানানো হয়নি। এই গ্রেপ্তারের ঘটনার পর গত শনিবার রাতে সর্বশেষ এই সহিংসতা শুরু হয়।
কাদের গ্রেপ্তার করা হলো
কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আজ সোমবার নিশ্চিত করেছে মণিপুর পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেরিফায়েড পেজে এক বিবৃতিতে মণিপুর পুলিশ বলেছে, দুই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) এবং ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এনএসএ) বিবৃতি থেকে জানা গেছে, ৪৬ বছর বয়সী অসেম কানন সিংকে নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কানন সিং মণিপুর পুলিশের সদস্য ছিলেন। অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গত মার্চের গোড়ায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পরই ৭ জুন থেকে ইম্ফল উপত্যকা উত্তাল হয়ে ওঠে। এ ছাড়া ৬ ও ৭ জুন নিরাপত্তা বাহিনী মধ্য মণিপুরের থৌবাল জেলার অধীনে লেইশাংথেম বাজারে সশস্ত্র মাওবাদী সংগঠন কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ গোষ্ঠী) আরও দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন লেইশাংথেম আমুজাও সিং (৩১) ও ইলাংবাম উমা রানী দেবী (৩২)। তাঁরা থৌবাল জেলায় চাঁদাবাজি করছিলেন।
আরাম্বাই টেঙ্গল ১০ দিনের জন্য রাজ্যজুড়ে, বিশেষত তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ধর্মঘট ডেকেছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছুই এই ধর্মঘটের আওতা থাকবে।কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ গোষ্ঠী) আরেক সক্রিয় সদস্য ৩৫ বছরের ওয়াহেংবম নাওটন মেইতেইকেও ওই সময় ইম্ফল পূর্ব জেলার অন্তর্গত সাওমবুং ওয়াইরি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এলাকার সাধারণ মানুষকে পার্টির নির্দেশিত নৈতিক–সামাজিক (মরাল পলিসিং) আচরণ বজায় রাখতে নানাভাবে হুমকি দিয়েছিলেন। একজন সাধারণ মানুষ সামাজিক নৈতিকতাবিষয়ক নির্দেশ দিতে পারেন না বলে স্থানীয় প্রশাসন জানায়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের অনেকেই আরাম্বাই টেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জেরে শনিবার থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। গতকাল রোববার সহিংসতা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা রোববার দুপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁরা মাটি দিয়ে রাস্তার ওপরে বিশাল প্রাচীর তৈরি করেন, যাতে পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর গাড়ি যেতে না পারে।
মূলত পশ্চিম ইম্ফলে প্রথম এ ধরনের প্রাচীর তৈরি করা হয়। এরপর সর্বত্র গাড়ির টায়ার জ্বালানো শুরু হয়। পশ্চিম ইম্ফলের সেকমাই, কইরেঙ্গাইসহ কয়েকটি এলাকায় এ ধরনের মাটির প্রাচীর বানানোর পাশাপাশি গাড়ির টায়ার জ্বলানো হয়। একইভাবে পূর্ব ইম্ফল জেলার ওয়াংখেই, ইয়াইরিপোক, খুরাই প্রভৃতি অঞ্চলে টায়ার জ্বালিয়ে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়া হয়।
রাজ্য পুলিশ জানায়, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয়। পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফলের আরও অসংখ্য জায়গায় বিভিন্ন ভবন ও সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ করা হয় বলেও স্থানীয় প্রচার মাধ্যম জানিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ জায়গাতেই নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছাতে পারেনি।
আরাম্বাই টেঙ্গল ১০ দিনের জন্য রাজ্যজুড়ে, বিশেষত তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ধর্মঘট ডেকেছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছুই এই ধর্মঘটের আওতা থাকবে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিদ্রোহীদের গ্রেপ্তার করতে রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে।
আদিবাসীদেরও গ্রেপ্তার
অন্যদিকে আদিবাসী কুকি-জো সমাজের তিন ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৪ সালে পুলিশের ওপর প্রাণঘাতী হামলার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামের শিলচর থেকে গত ১৯ মে আটক করা হয় কুকি-ইনপি টেংনোপাল বিদ্রোহী গোষ্ঠীর থাংমিনলেন মেটকে নামের এক ব্যক্তিকে।
এ ছাড়া কুকি ন্যাশনাল আর্মির সদস্য কামগিনথাং গ্যাংটে এবং চুড়াচাঁদপুর জেলার গ্রাম স্বেচ্ছাসেবক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হেন্টিনথাং কিপগেন ওরফে থাংনিও কিপগেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২৪ সালে হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
ইম্ফল উপত্যকার মতো পাহাড়ে কুকি-জো জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ শুরু হয় ৬ জুন। সেখানে তিন দিন প্রতিবাদ চলে এবং সেখানেও উত্তেজনা রয়েছে। তবে ইম্ফলের তুলনায় পাহাড়ে পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
কানন সিং মণিপুর পুলিশের সদস্য ছিলেন। অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গত মার্চের গোড়ায় তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তারের পরই ৭ জুন থেকে ইম্ফল উপত্যকা উত্তাল হয়ে ওঠে।রাজ্য প্রশাসনের পদক্ষেপ
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনেকগুলো এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া রাস্তা খোলা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম বিমানবন্দরে যাতায়াতের প্রধান সড়ক টিডিম রোড। তবে এখনো অসংখ্য রাস্তা, সংলগ্ন সরু গলি বা বিভিন্ন মহল্লার সরু রাস্তা বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করছে রাজ্য পুলিশ। মেইতেই সমাজের বিভিন্ন নারী সংগঠনও প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। গতকাল রোববার সারা রাত তাঁরা মশালমিছিল করেছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং রাজ্য প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রথমত, বিভিন্ন সরকারি ভবনে যে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি সরকারি ভবনগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্ব, থৌবাল, বিষ্ণুপুর ও কাকচিং জেলায় বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে। যেমন এলাকায় একাধিক ব্যক্তির সমাবেশ বা কোনো ধরনের সাধারণ জিনিস, যেমন লাঠি নিয়ে অঞ্চলে ঘোরাঘুরির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
শনিবার থেকে সহিংসতার জেরে ইম্ফল ও সংলগ্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএনও রয়েছে। ভিপিএনের সাহায্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা হলে গ্রাহকের ইন্টারনেট ঠিকানা বোঝা সম্ভব হয় না। ফলে তিনি কোথা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, সেটাও নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায় না।
ভারতে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের উত্তেজনা ও সংঘাতের কারণে। ডিজিটাল অধিকার সংস্থা ‘অ্যাকসেস নাও’–এর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮৪ বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। তবে তার আগের বছর; অর্থাৎ ২০২৩ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১১৬ বার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে ‘অ্যাকসেস নাও’।
এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জেরে শনিবার থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। গতকাল রোববার সহিংসতা ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা রোববার দুপুর থেকে বিভিন্ন জায়গায় জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁরা মাটি দিয়ে রাস্তার ওপর বিশাল প্রাচীর তৈরি করেন, যাতে পুলিশ বা সামরিক বাহিনীর গাড়ি যেতে না পারে।রাজ্যপালের বৈঠক
মণিপুরের রাজ্যপাল এবং ভারতের সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইতিমধ্যে কয়েক দফায় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল রোববার বহুদলীয় বিধায়কদের ২৫ সদস্যের একটি দল ভাল্লার সঙ্গে দেখা করে।
রাজ্যসভার সংসদ সদস্য লেইশেম্বা সানাজাওবাও ওই দলে ছিলেন। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে জানতে চান, কীভাবে পরিস্থিতি এত দ্রুত হাতের বাইরে চলে গেল। গত ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পর এত বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকায় ঘটেনি।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে চলা সহিংসতায় মণিপুরে অন্তত ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, গৃহহীন হয়েছেন ৬০ হাজারের বেশি মানুষ। সেখানে এখনো শান্তি ফেরেনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত দুই বছরে মণিপুর সফর করেননি। এ নিয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস তাঁর সমালোচনা করছে।
রাজ্য বিধানসভা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে রাখা হয়েছে। সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যম ইতিমধ্যে বিভিন্ন সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর কুকি-জো আদিবাসীদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সরকার যখন দিল্লিতে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে, ঠিক তখনই আবার রাজ্যে নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে।