পর্তুগাল–স্পেন উয়েফা নেশনস লিগ ফাইনালের সময় স্টেডিয়ামে এক দর্শক মারা গেছেন। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার গ্যালারির ওপরের অংশে থাকা ওই দর্শক নিচে প্রেসবক্সের সামনে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ম্যাচের পর তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।

জার্মানির সংবাদমাধ্যম বিল্ড জানিয়েছে, ওই দর্শক ছিলেন জার্মান। তাঁর দেশ জার্মানি নেশনস লিগের ফাইনালে না থাকলেও তিনি খেলা দেখতে এসেছিলেন। তাঁর বাড়ি গারমিশ-পার্টেনকিরচেন জেলায়। তবে তাঁর নাম, বয়স ও পেশা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো–লামিনে ইয়ামালদের ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আচমকাই এক ব্যক্তি স্টেডিয়ামের ওপরের অংশ থেকে নিচে পড়ে যান। বিল্ডের খবরে বলা হয়, ওপর থেকে ৮ মিটার নিচে ১০৩ নম্বর ব্লকে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। ওই জায়গাতেই সাংবাদিকদের বসার জায়গা। টিভি সম্প্রচারে ধারাভাষ্যও চলছিল সেখান থেকে।

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই বসে কাজ করছিলেন সাংবাদিকেরা।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ