লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠকসহ অন্তত ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন রামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ান সালেহীন নাঈম, আজিজ শাকিল, সাঈদ আলম শাহীন, জাহীদ হাসান পাবেল, তারেক আজিজ, সায়মন স্যাম, তারেক, সংবাদকর্মী রায়হানুর রহমানসহ ১০ জন। খবর পেয়ে গতকাল রাতেই তাঁদের হাসপাতালে দেখতে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম।

ওই ঘটনায় গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে মধ্য টামটা গ্রামের মাসুদ আলম (৩৭), মধ্য আঙ্গারপাড়া গ্রামের কামাল হোসেন (৩০) ও আশরাফুজ্জামান তুষার (৩২) নামের তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শৈরশই গ্রামে গণকবাড়িতে গতকাল রাহুল ও সাফোয়ান নামের দুই কিশোর ফুটবল খেলছিল। তখন ফুটবল লেগে সোহাগ আলমের ছেলে আনাছুর (১) মাথায় আঘাত পায়। বিষয়টি নিয়ে শিশুটির মায়ের সঙ্গে ওই কিশোরের স্বজনদের কথা–কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যায় শিশুর অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় হাসপাতালে।

এদিকে শিশুটিকে হাসপাতাল ভর্তি করার পর ওই দুই কিশোরের স্বজন মাসুদ, তুষার, কামালসহ কয়েকজন সেখানে যান। সেখানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে তাঁরা শিশুটির এক স্বজনকে হেনস্থা করেন। ঘটনাটি সোহাগ আলম তাঁর আত্মীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক রেদোয়ানকে জানান। পরে রেদোয়ানসহ কয়েকজন হাসপাতালে আসেন। তখন তুষার, মাসুদ, কামালসহ ২০ থেকে ২৫ জন লাঠি দিয়ে রেদোয়ানসহ অন্যদের পিটিয়ে আহত করেন। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।

ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা
  • চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা