সাতক্ষীরা শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের কালীগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নে যখন পৌঁছালাম, সূর্য তখন মধ্যগগনে। গরম হাওয়া এসে শরীরে লাগছিল। মনে হচ্ছিল, উনুনের আঁচ শরীরে ছোঁয়া দিয়ে যাচ্ছে। বেশ খানিকটা খোঁজাখুঁজির পর হদিস পাওয়া গেল শোকর আলীর বাড়ির।

পাকা সড়ক থেকে নেমে গেছে মাটির রাস্তা। কয়েক পা হাঁটলেই সামনে হাত দু-এক চওড়া বাঁশের সাঁকো। সাঁকো পেরোতেই ডানে পুকুরপাড়ে সুন্দরবনের কেওড়াগাছ। গাছে ঝুলছে কেওড়া ফল। বামে কতবেলগাছ। গাছের গাঢ় সবুজ পাতার মাঝে ঝুলছে মাঝারি আকৃতির কতবেল।

এসব পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতেই সরু পথের ধারে বেশ কয়েকটি মাটির বাড়ি চোখে পড়ে। শোকর আলীর বাড়ি কোনটা—এমন প্রশ্নের জবাবে এলাকার এক বাসিন্দা হাতের আঙুল দিয়ে সবশেষ বাড়িটি দেখালেন। বললেন, এটিকে লোকজন এখন ‘খেজুরবাড়ি’ বলে ডাকে। বাড়িতে সৌদি আরবের খেজুরগাছ চাষ হচ্ছে। একটি গাছে খেঁজুরও এসেছে।

বাড়িটিতে ঢুকতেই চোখে পড়ল নীল রঙের জাল দিয়ে ঘেরা শত শত খেজুরগাছের চারা।

টিনের চালা দেওয়া ছিমছাম বাড়িটির উঠোনে বেশ কিছু লোক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের মাঝখানে মাটিতে বসে খেজুরগাছের চারা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছিলেন এক বৃদ্ধ। জানা গেল তিনিই শোকর আলী। কথা বলতে চাইলে হাসিমুখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বললেন।

শোকর আলীর বসতবাড়িতে শত শত খেজুরগাছ আছে। এগুলো সৌদি আরবের মরিয়ম জাতের খেজুরগাছ বলে দাবি শোকর আলীর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ জ রগ ছ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রায় অর্ধকোটি টাকা খরচ করেও যমুনা তীরের বিদ্যালয়টি রক্ষা করা গেল না

ছবি: সংগৃহীত

সম্পর্কিত নিবন্ধ