স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের কেউ দুর্নীতিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না। বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ থেকে ৪০ জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে বাড়ি পাঠাতে হলে তাঁরা একটুও কুণ্ঠা বোধ করবেন না।

আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। এটা রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা নিয়ন্ত্রণের ভেতরে আনতে পারলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত। এ জন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।

এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এ জন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আগে বলা হতো পুলিশ জিডি ও মামলা নিতে চায় না। এ জন্য মামলা গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য এখন আর মানুষকে থানায় যেতে হবে না, তাই হয়রানি পোহাতে হবে না। এর সঙ্গে তিনি যুক্ত করেন, রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। এখন থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাচের মতো ঘর করে দেওয়া হবে। এতে অন্যরা দেখতে পারবেন, তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কি না।

৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলার তদন্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা জানেন, আগে ১০ থেকে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করত। এবার হইছে কি? আপনারাই ১০ থেকে ১৫ জনের নাম দিছেন, ২০০ থেকে ২৫০ বেনামি লোক আসামি করে মামলা করেছেন। এ জন্য মামলার তদন্ত দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন আছেন, মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষ আছেন। এ জন্য আমরা দেখব, যাঁরা দোষী, তাঁদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসব। যাঁরা নির্দোষ, তিনি যাতে কোনো সাজা না পান, সে ব্যবস্থা করা হবে।’

পরিদর্শনের সময় গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, অতিরিক্ত কমিশনার রবিউল ইসলাম, গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ র আলম চ ধ র এ জন য

এছাড়াও পড়ুন:

লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ নিয়ে এ পর্যন্ত যা কিছু জানা গেছে

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভের পর বেশকিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েন করেছেন। ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জন্ম নিলেও গত সোমবার ট্রাম্প আরও ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য ও ৭০০ মেরিন সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় ফেডারেল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বড় সংখ্যায় অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার শুরু করলে লোকজন এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন।

শুরুতে এসব বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হলেও পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা একটি প্রধান মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং চালকবিহীন কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তবে সোমবার সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হতে শুরু করে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে কেন বিক্ষোভ হচ্ছে

গত শুক্রবার ফেডারেল ইমিগ্রেশন সংস্থা (আইসিই) লস অ্যাঞ্জলেসের লাতিন জনগোষ্ঠী–অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় অভিযান শুরু করেছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এ বিক্ষোভ শুরু হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই লস অ্যাঞ্জেলেসে ধরপাকড় বেড়ে যায়।

গত সোমবার দায়ের করা এ মামলায় ক্যালিফোর্নিয়া সরকার অভিযোগ করেছে, গভর্নরের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। সংবিধানের দশম সংশোধনী অনুযায়ী, ফেডারেল সরকারকে যেসব ক্ষমতা স্পষ্টভাবে দেওয়া হয়নি, সেসব রাজ্য সরকারগুলোর জন্য সংরক্ষিত থাকে।

বিবিসির সহযোগী মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়েস্টলেক ও প্যারামাউন্ট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। প্যারামাউন্ট শহরের ৮২ শতাংশের বেশি বাসিন্দা হিসপ্যানিক।

প্যারামাউন্টের একটি হোম ডিপো শপে আইসিই অভিযান চালিয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়। তবে কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানান, এ তথ্য সঠিক নয়।

আরও পড়ুনলস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে কেন বিপজ্জনক মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা০৯ জুন ২০২৫

পরে আইসিই সিবিএসকে জানায়, গত শুক্রবার অভিবাসীদের একটি কর্মস্থলে অভিযান চালিয়ে ৪৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই দিন লস অ্যাঞ্জেলেসের বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ৭৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লস অ্যাঞ্জেলেসের কোথায় বিক্ষোভ হচ্ছে এবং সেখানে কী ঘটছে

বিক্ষোভ মূলত লস অ্যাঞ্জেলেসের কেন্দ্রে সীমাবদ্ধ ছিল। কয়েক দিনের সংঘর্ষের পর পুলিশ সেখানে সমাবেশ বেআইনি ঘোষণা করে।

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভে রাস্তা অবরোধের পর পুলিশ প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেয়, ৮ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ