২০২৫-২৬ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে সরকার ই-বাইক উৎপাদন এবং লিথিয়াম ও গ্রাফিন ব্যাটারি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কছাড় দিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। গতকাল মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সদ্যঘোষিত বাজেটে ই-বাইক উৎপাদন এবং লিথিয়াম ও গ্রাফিন ব্যাটারি পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কছাড় ৬০ শতাংশ ও ৮০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে সবুজ প্রযুক্তি-নির্ভরতা বাড়বে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, শুল্কছাড়ের ঘোষণায় হুয়াওয়ে, টয়োটা, ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তত ২০০ কোটি টাকা তাৎক্ষণিক বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে নতুন ই-বাইক, তিন ও চার চাকার ইভি এবং মোবাইল টাওয়ার ব্যাটারির স্থানীয় উৎপাদন শুরু হবে। ছাড়ের কারণে দেশের জ্বালানি সাশ্রয় হবে। কার্বন নিঃসরণ কমবে। বৈদেশিক মুদ্রা সংরক্ষণ হবে। রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আসবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গত ৫ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে শুল্ক ও মূসক ছাড়ের বিষয়ে একটি আধা সরকারি পত্র দেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২০০ ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

গলাচিপায় জিওপি-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২০, নুর অবরুদ্ধ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস এলাকায় গণ অধিকার পরিষদ (জিওপি) ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চর বিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর করে। এতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের (ভিপি নুর) ছোটভাই আমিনুল ইসলাম নুরসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হচ্ছেন, আমিনুল ইসলাম নুর, কামাল খলিফা, ইলিয়াস হোসেন, রবি মোল্লা, মারুফ হোসেন, শান্ত, শুভ, লোকমান হোসেন, মাকসুদ খান,  মফিজ উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, সোহেল রানা।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘটিত হচ্ছে। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় গণ অধিকার পরিষদ ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ একে-অপরকে দায়ী করেছেন।

এদিকে ঘটনার সময় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া এলাকায় দলীয় গণসংযোগে ছিলেন। সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়লে বকুলবাড়িয়া ও চিকনিকান্দি এলাকার বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নুরুল হক নুরকে পাতাবুনিয়া এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে।

ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু নাঈম জানান, এলাকার ব্যবসায়ীদের নিয়ে নুরুল হক নুরের ছোটভাই আমিনুল ইসলাম নুর চর বিশ্বাস বাজারে মতবিনিময় সভা করছিল। এ সময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায় এবং নুরুল হক নুরের ছোটভাই আমিনুল ইসলাম নুরকে মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে বিএনপি কার্যালয় ভাংচুর করে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করার জন্য সংঘবদ্ধ হচ্ছে এবং বিএনপির ক্যাডাররা ত্রাস সৃষ্টি করছে। এতে এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় গাছ ফেলে নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।

এদিকে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান বলেন, ‘চর বিশ্বাসে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সভা করছিলেন। এ সময় ভিপি নুরের ছোটভাই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে তারা সেখানে হামলা চালায় এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এতে তাদের ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ওসি মো. আসাদুর রহমান জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৫-৭ আহত হয়েছে খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখন শান্ত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ