বিশ্বকাপের বাকি ঠিক এক বছর, টিকিট পেল যারা
Published: 11th, June 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাজনা বেজে গেছে। ঠিক এক বছর পর অর্থাৎ আগামী বছরের ১১ জুন পর্দা উঠবে প্রথমবার ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের।
ওই টুর্নামেন্টে জায়গা পেতে উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং ওশেনিয়া মহাদেশের দলগুলোর লড়াই শুরু হয়েছে বেশ আগে। এরই মধ্যে বড় বড় কিছু নাম বিশ্বকাপে তাদের টিকিট বুকিং দিয়ে ফেলেছে।
ওদিকে দারুণ লড়াই হলেও আফ্রিকা মহাদেশের বাছাইপর্ব পেরিয়ে এখনো কোন দল বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করতে পারেনি। মহাদেশটির ৫৪ দল বিশ্বকাপে যেতে লড়াই করছে। ইউরোপের বিশ্বকাপ বাছাই ওই অর্থে শুরুই হয়নি।
নেশন্স লিগ শেষ হওয়ায় এবার বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করার তোড়জোড় শুরু করবে ইউরোপের ৫৪ দল। নেশন্স লিগে না থাকায় ইউরোপের ‘জি’ থেকে ‘এল’ পর্যন্ত গ্রুপের বাছাই পর্ব শুরু হয়েছে। সেখানে বিপদে আছে ইতালির মতো দল। টানা তৃতীয়বার তারা বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার শঙ্কায় আছে।
এরই মধ্যে লাতিন অঞ্চল থেকে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছে। এশিয়া থেকে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পেয়েছে। ওশেনিয়া থেকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত। স্বাগতিক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা তো বিশ্বকাপে খেলবেই।
বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত হলো যাদের: ইরান, উজবেকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডান, অস্ট্রেলিয়া, জাপান (এশিয়া), যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো (স্বাগতিক এবং উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল), আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর ও ব্রাজিল (দক্ষিণ আমেরিকা), ওশেনিয়া (নিউজিল্যান্ড)।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব শ বক প ব ছ ই ব শ বক প র ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।